ইসলাম কিভাবে ধর্ষণকে ফয়সালা করে? সম্প্রতি একটি মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অনেকে এজন্য ভিকটিম মেয়েটিকেই দুষছে- এরকম ক্ষেত্রে ইসলাম কিভাবে ফয়সালা করে? ?
দেখুন, একটি মেয়ে একটি ছেলের সাথে ঘুরতে যাবে, দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুজনই অবিবাহিত এবং একই সঙ্গে থাকবে, ঘুমাবে এবং তাদের মধ্যে কোনো প্রকার ভাব-লেষের তৈরি হবে না।
এটা হলো পৃথিবীর সবথেকে মিথ্যাচার গুলোর মধ্য থেকে একটি এবং সবথেকে হাস্যকর কথাগুলোর মধ্য থেকে একটি।
ইসলাম কিভাবে ধর্ষণকে ফয়সালা করে
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এভাবে যে, নারী-পুরুষ একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি একজন এডাল্ট হয়ে, একজন মেয়ে হয়ে, একজন ছেলেকে সাথে নিয়ে আপনি ঘুমাবেন নির্জন কক্ষে রাত কাটাবেন, সময় কাটাবেন এবং তার মনে আপনাকে নিয়ে কোনো বাজে চিন্তা আসবে না।
তাহলে আপনি হয় বোকার স্বর্গে বাস করছেন আর না হলে আপনি নিজেকে নিজের সাথে প্রতারণা করছেন।
আমাদের সেক্যুলার বন্ধুরা সবাই এমনটিই আশা করেন যে, ছেলে-মেয়ে সবাই মিলেমিশে একাকার হবে, রাত কাটাবে, ঘুমাবে, শোবে, একি কক্ষে কাজ করবে।
নির্জন নির্জনতা অবলম্বন করবে, ঘুরতে যাবে, একই হোটেল কক্ষে সময় কাটাবে, আনন্দ-ফুর্তি করবে, হাত ধরাধরি করবে, সব করবে- কিন্তু তার মধ্যে কোনো প্রকার কাম ভাব জাগ্রত হবে না বা কাম ভাব নিয়ে দেখবে না।
আমি জানি না এরকম অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর কথা কিভাবে তারা বলতে পারেন!
এবং যে ঘটনা আমরা শুনতে পাচ্ছি এরকম ঘটনা কিন্তু একটি/দুটি নয়- শতশত, সহস্র ঘটনা ঘটে।
আমরা যাদেরকে উন্নত মনে করছি, আমরা যাদেরকে আমরা যে সমস্ত দেশগুলোকে উন্নত দেশ হিসেবে আমাদের থেকে অগ্রসর দেশ মনে করি ।
সেসমস্ত দেশগুলোতেও নারীর প্রতি পাশবিক নির্যাতন, ধর্ষন, নিপীড়ন এগুলো কোনোভাবে কি তারা থামাতে পেরেছে?
তারা অনেক দিকে থেকে আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে সভ্যতায়, তাদের আদর্শিক জায়গায় বা তাদের আচার-আচরণের ক্ষেত্রে।
লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় অনেক দিক থেকে তারা প্র্যাকটিসিং অনেক মুসলিমের চাইতেও এগিয়ে আছে।
ইসলাম কিভাবে ধর্ষণকে ফয়সালা করে
কিন্তু এই জায়গাটার কথা আমরা বলছিলাম যে, মেয়েদের প্রতি পাশবিক নির্যাতন কি তারা থামাতে পেরেছে বা এটি কি কমাতে পেরেছে?
কয়জন মেয়ে পাশবিক নির্যাতন থেকে মুক্ত আছে? সে সমস্ত দেশগুলোতে যে সমস্ত জরিপ হয়ে থাকে সেগুলো সম্পর্কে আমরা কতজন জানি?
খোলাসা কথা হলো যে, আসলে এই যে একটা দর্শন/চিন্তাধারা যে ছেলে-মেয়ে একসাথে ঘুরতে যাবে, বেড়াবে, হাত ধরবে, গল্প করবে, মাখামাখি-ঢোলাঢুলি করবে কিন্তু কোনো বাজে চিন্তা হতে পারবে না।
এটি হলো পৃথিবীর সবচাইতে অবাস্তব, সবচাইতে হাস্যকর এবং মিথ্যাকথাগুলোর মধ্য থেকে একটি।
তো যে ঘটনার কথা আমরা জানতে পারলাম সে ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে যদি ছেলে মেয়ের উপর কোনো নির্যাতন চালায় ।
মেয়ের সাথে কোনোভাবে যিনায় লিপ্ত হয় তাহলে এক্ষেত্রে সে যেরকম পাপিষ্ট/নরাধম/শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে।
একইভাবে একটি মেয়ে একটি এডাল্ট ছেলেকে নিজের কক্ষে একসাথে থাকতে দিয়েছে এটাও একটা অন্যয়।
ইসলাম কিভাবে ধর্ষণকে ফয়সালা করে
একটি অন্যায় আরেকটি অন্যায়ের পথ উন্মোচন করে বিধায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর বিধানের বাইরে গিয়ে শান্তি আমরা কখনোই পাবোনা।
আমাদের বোন এবং তরুণ ভাইয়েরা তাদের তারুণ্যে বিভিন্ন প্রকারের অপপ্রচারের শিকার হয়ে ইসলামের প্রতি ভূল ধারণা পোষন করে ।
এক পর্যায়ে তারা বিভ্রান্তির দিকে এগিয়ে যান এবং একটি সময় ঠিকই তারা তাদের ভূল বুঝতে পেরে সঠিক জায়গায় ফিরে আসে।
আমরা দুআ করবো আল্লাহ তা’আলা আমাদের তরুণ সমাজে হিদায়াত দান করুন।
তারা যেন সঠিকটা বুঝতে পারেন এবং তারা যেন এ উপলব্ধি করেন যে।
আল্লাহর বিধানের বাইরে শান্তি এবং সুখ আসতে পারে না।