অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবসময় টাকা জমানোর চেষ্টা করে থাকি ।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা টাকা জমা করতে না ।
এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ডিপিএস একাউন্ট খোলার সুবিধা দিয়ে থাকে ।
আমরা কোন একটি ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট খুলি।
সেখানে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ছোট পরিমাণে কিস্তি দিয়ে থাকি ।
যা এই ব্যাংক একাউন্টে যুক্ত হয় ।
ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হলে আমরা আমাদের অল্প অল্প করে জমানো সব টাকা একসাথে পেয়ে যাই ।
সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছু লাভ দিয়ে থাকে।
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস
বাংলাদেশী অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক হল অগ্রণী ব্যাংক ।
Agrani bank DPS একাউন্ট করার সুবিধা দিয়ে থাকে ।
তাই আজকে আমরা জানবো,
অগ্রণী ব্যাংকে কিভাবে ডিপিএস একাউন্ট করতে হয় ?
কত বছর মেয়াদের ডিপিএস করা যায় ?
তাদের লাভের হার কেমন ?
এক কথায় আজকে আমরা অগ্রণী ব্যাংক এর ডিপিএস অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য জানবো।
অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস একাউন্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিম রয়েছে ।
তবে বেশিরভাগ স্কিম একই রকম ।
মূলত একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয় ।
যত দিনের জন্য ডিপিএস করা হয় ততদিন পর্যন্ত টাকা জমা দিতে হয় ।
তারপর ওই মেয়াদ শেষ হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা সহ আপনি সম্পূর্ন টাকা তুলতে পারবেন।
এই অ্যাকাউন্ট করতে কী কী কাগজপত্র বা যোগ্যতা লাগে সেগুলো সম্পর্কে এখানে আলোচনা করেছি ।
আপনার কোন ধরনের ডিপিএস অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন সেটা আপনি এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধার করবেন ।
বৈশিষ্ট্য
Agrani bank DPS একাউন্ট করার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো
- মাসিক ৫০০ থেকে কয়েক কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত কিস্তি হিসেবে দিয়ে টাকা জমানো সুযোগ রয়েছে।
- ঝামেলা বিহীন ভাবে খুব সহজে একাউন্ট ওপেনিং ফরম এবং কাগজপত্র দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।
- খুবই ভালো পরিমাণ মুনাফা । যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার ডিপিএস এর মেয়াদের উপর ভিত্তি করে দেবেন।
- এই অ্যাকাউন্ট করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে।
- এই অ্যাকাউন্টের সাথে কোন প্রকার চেক বই বা এটিএম কার্ড দেওয়া হয় না।
- প্রতি মাসে ১০ তারিখের মধ্যে মাসিক কিস্তি দিতে হবে না হলে কিছু পরিমাণ জরিমানা গুনতে হয়।
সুবিধা
আপনি যদি অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট খুলেন ।
তাহলে পাবেন নানা ধরনের সুবিধা, তার মধ্যে কিছু আমি নিচে উল্লেখ করলাম।
- মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে যদি আপনি টাকা না তুলেন । তাহলে যতদিন টাকা ব্যাংকে রাখবেন নির্দিষ্ট হারে তত দিনের মুনাফা পাবেন।
- এখানে অন্যান্য ডিপিএস এর তুলনায় ঝামেলা খুবই কম।
- রয়েছে খুব ভালো মুনাফার হার।
এগুলো ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট আরও নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে ।
এ সকল সুবিধা সম্পর্কে জানতে আপনি নিকটস্থ অগ্রণী ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা অথবা এজেন্ট আউটলেটে যোগাযোগ করতে করুন ।
মুনাফার হার
অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস এর মুনাফার হার মূলত ডিপিএস এর মেয়াদের উপর নির্ভর করে ।
সাধারণত ডিপিএসের মেয়াদ ৫ বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে ।
আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ যত বেশি হবে তার মুনাফার হার তত বেশি হবে ।
তবে সাধারণত ৬ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ মুনাফার হার হয়ে থাকে ।
এগুলো আবার ডিপিএস একাউন্টের ধরনের উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস একাউন্ট করতে বেশ কয়েক প্রকার কাগজ লাগে এগুলো সম্পর্কে বলা হলো।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং দুই কপি রঙিন ছবি ।
- নমিনি জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এক কপি রঙিন ছবি।
- এগুলো আমার ছাড়াও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরো কাগজপত্র চাইতে পারে মেয়েগুলো আপনার ব্যাংকের শাখার উপর নির্ভর করে।
- অনেক সময় টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হতে পারে।
- এছাড়াও একাউন্ট খোলার সময় ব্যাংকের শাখা থেকে একাউন্ট ওপেনিং ফরম দেওয়া হবে যাতে উপরের লিখিত কাগজপত্র সহ আপনার তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
আমার শেষ কথা
আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি ।
আশা করি আপনি তথ্যগুলো পেয়ে উপকৃত হয়েছেন ।
যে কোন প্রয়োজনে বা কোন সমস্যা হলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আর ডিপিএস একাউন্ট করার জন্য অবশ্যই আপনার নিকটস্থ অগ্রণী ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা অথবা এজেন্ট আউটলেটে যাবেন।
আজকে এটুকুই থাক এরকম আরো ব্যাংকিং রিলেটেড পোস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস মুনাফা কত ?
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস এর মাসিক মুনাফা নির্ভর করে । একাউন্টের ধরনের এবং ডিপিএস এর মেয়াদের উপর । তবে সাধারণত ৬% থেকে ৯% হয়ে থাকে ।