আজকের এই পোস্টটিতে অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে সকল তথ্য আলোচনা করা হয়েছে ।
আমাদের অনেক সময় নগদ অর্থে প্রয়োজন হয় যা আমাদের হাতে তাৎক্ষণিকভাবে থাকে না । কিন্তু সেই টাকা খুব দ্রুত প্রয়োজন হয় ।
সেক্ষেত্রে আমরা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার চেষ্টা করে থাকি।
লোন নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় ব্যাংক হল অগ্রণী ব্যাংক ।
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা অগ্রণী ব্যাংকের সকল প্রকার ঋণ স্কিম সম্পর্কে জানব ।
আরো পড়ুন, ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি
সময়ের সাথে সাথে লোনের মেয়াদ , টাকার পরিমাণ, সুদের হার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি পরিবর্তন হতে পারে ।
এখানে শুধুমাত্র লোন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে ।
প্রকৃত তথ্যের জন্য এবং লোন নেওয়ার জন্য আপনার নিকটস্থ অগ্রণী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন।
তাহলে আসুন আর সময় নষ্ট না করে অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে দেখে নেওয়া যাক।
অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন
যে সকল মানুষ তাদের বেতনের টাকা মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন ।
তারা এই ঋণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন যেকোনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা । যা নয় শতাংশ সুদ সহ আট বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ।
গ্রাহকের বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং কোন প্রকার সিকিউরিটির প্রয়োজন নেই।
যে কোন প্রয়োজনে লোন
অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো সার্ভিস ব্যবহারকারী ব্যক্তি, যারা পাঁচ বছর যাবৎ অগ্রণী ব্যাংকের সাথে যুক্ত আছেন অথবা আগামী পাঁচ বছর থাকবেন এমন গ্যারান্টি আছে ।
তারা এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।
ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা যা পাঁচ বছরের মধ্যে নয় শতাংশ সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।
ঋণ গ্রহীতার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি এবং একজনকে জামিনদার হিসেবে থাকতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন
যে সকল মুক্তিযোদ্ধা তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা অগ্রণী ব্যাংকের যেকোন শাখার মাধ্যমে নিয়ে থাকেন তারা ।
তাদের ছেলেমেয়ে যদি কোন ব্যবসা সাথে জড়িত থাকে তাহলে তারাও এই দিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ বারো লক্ষ টাকা । যা সাত বছরের মধ্যে ৮ শতাংশ সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।
পেনশন ভাতা গ্রহীতাদের জন্য ঋণ
যে কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যারা পেনশন বা ভাতা পেয়ে থাকেন ।
তারা তাদের পেনশনের বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা যা সাত বছরের মধ্যে নয় শতাংশ সহ পরিশোধ করতে হবে ।
আরো পড়ুন, রূপালী ব্যাংক লোন সমূহ
গ্রাহকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি প্রয়োজন হবে।
অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন
যে সকল লোকজন বাইরের কোন দেশে কাজ এবং ভিসা পেয়েছেন তাদের জন্য অথবা যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরকেও এই লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
পাসপোর্ট ,ভিসা ট্রেনিং ,প্লেনের টিকেট ,মেডিকেল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাজের কিছু করেছেন এবং বাকিগুলো করার জন্য টাকা প্রয়োজন ।
অথবা এই সকল কাজ গুলো সম্পাদনের জন্য টাকার প্রয়োজন। তাদেরকে এই ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
যা ১৫ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে নয় শতাংশ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে ।
ঋণ পাওয়ার জন্য গ্রাহকের নিজের নিশ্চয়তা এবং কোন একজন নিকট আত্মীয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
গ্রীন ব্যাংকিং ফাইন্যান্স
পরিবেশ ভিত্তিক প্রযুক্তি, প্রকল্প, শিল্প বা ব্যবসার জন্য অর্থায়ন যেমন –
সোলার হোম সিস্টেম, মিনি গ্রিড, সেচ পাম্পিং সিস্টেম, বায়ো গ্যাস প্লান্ট, হাইড্রো পাওয়ার প্লান্ট, পিইটি বোতল রিপ্রসেসিং প্ল্যান্ট, এলইডি বাল্ব উৎপাদন, সোলার ব্যাটারি রিপ্রসেসিং প্ল্যান্ট, ফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ইত্যাদির জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
ঋণের পরিমাণ এবং ঋণের সময় নির্দিষ্ট নয় । যা নয় শতাংশ সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসা লোন
যে কোন প্রকার ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য অগ্রণী ব্যাংক এই ঋণ দিয়ে থাকে ।
এ ঋণ পাওয়ার জন্য গ্রাহককে অবশ্যই কমপক্ষে তিন বছরের ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।
ঋণের পরিমান তিন লক্ষ টাকা যা দুই বছরের মধ্যে ৯ শতাংশ সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।
গ্রাহকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
পূবালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি
আমার শেষ কথা
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অগ্রণী ব্যাংকের সকল প্রকার লোন স্কিম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।
এরকম নতুন নতুন পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের এই ব্লগটি ঘুরে দেখতে পারেন ।
আজকে এটুকুই থাক আবার এরপরে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে দেখা হবে। সেই পর্যন্ত আমাদের ব্লগের সাথেই থাকুন।