আমি আমার মায়ের অবৈধ সন্তান, মাকে বিয়ে করার আগেই বাবা মারা যায়। বিয়ের পূর্বে স্বামীকে বলেছিলাম আমার বাবা-মা নেই- এটা জেনে বিয়ে করতে চাইলে করতে পারো।
বিয়ের পর আমার স্বামী আমার জন্মের বিষয়ে জানতে পারে।
এখন রীতিমতো আমাকে অত্যাচার করে, পরকীয়া করে।
কারণ জানতে চাইলে বলে আমি তার হক নষ্ট করেছি।
আমি ক্ষমা চাওয়ার পরও তিনি নিজে আমার হক নষ্ট করছেন- আপনার নসীহা চাই। ?
আল্লাহ মাফ করুন। কোনো মানুষ বাবা-মায়ের অবৈধ সন্তান হওয়ার কারণে তিনি কোনো পাপী হন না।
কারণ এক্ষেত্রে তার কোনো দোষ আসলে থাকে না।
এবং তিনি অনেক বৈধ সন্তানদের থেকেও আল্লাহর প্রিয় মানুষ বা প্রিয় বান্দা হতে পারেন।
সে সুযোগ কিন্তু আছে বিধায় এ অযুহাতে কোনো বোনের উপর টর্চার করা।
অত্যাচার করা বা তাকে বাজে কথা বলা- এটা আমাদের জন্য সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয এবং গুনাহের কথা।
আমি আমার মায়ের অবৈধ সন্তান
আমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।
আমি যদি সেই ভাইকে আমার কথাগুলো শুনাতে পারতাম তাহলে তাকে অবশ্যই আমি বলতাম যে, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন এবং স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার করা বন্ধ করুন।
নিজে পরকীয়ায় যদি আপনি লিপ্ত হন তবে সেক্ষেত্রে সন্দেহাতীতভাবে এটা গুনাহের কারণ।
এর জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে এবং একজন নিরীহ মানুষের প্রতি অত্যাচারের কারণে আপনি গুনাহগার হবেন।
তবে হ্যাঁ, তিনি আপনাকে যেহেতু বলেছেন ‘বাবা-মা নেই’- এ ধরণের কথা না বলে তিনি আরো পরিষ্কার করে বলতে পারতেন।
এটা তার ভূল ছিল।
কিন্তু এটুকু বলার কারণে তিনি ভূল স্বীকার করার পর আপনি তার উপরে রীতিমতো টর্চার করবেন- এই অধিকার আপনার নেই।
সেটা অবশ্যই গুনাহের কাজ হচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে সবরের তৌফিক দান করুন এবং তাকেও ইসলাম অনুযায়ী সংশোধন হওয়ার তৌফিক দান করুক।