আসসালামু আলাইকুম আশা করি ভালই আছেন ।
জাতীয় পরিচয় পত্রে কম বেশি আমাদের সবার কিছুনা কিছু ভুল থাকে ।
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের নিজেরা ভুল করি ।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা সঠিক তথ্য দিলেও, জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ডের তথ্যটি ভুল আসে ।
কারণ হলো যারা এই আমাদের দেওয়া তথ্য গুলো অনলাইনে আপলোড করেন; তারা একসাথে অনেকগুলো কাজ করেন।
তাই তাদের একটু ভুল হয়ে যায় ।
আর এই এই ভুলের খেসারত আমাদেরকেই দিতে হয় ।
তবে এখন আমাদের জন্য খুশির বিষয়ে যে, আমরা বাড়িতে বসে চাইলেই আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধন করতে পারবো ।
আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা ফোনটি দিয়েই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন ।
তাই আজকে আমরা এই পোস্টটি দেখবো কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়েই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে পারবেন ।
আপনার কাছে যদি পিসি বা কম্পিউটার থাকে তাহলে এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি সেখান থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন ।
তবে আমি পদ্ধতিটি মোবাইলের মাধ্যমে দেখাবো।
কারন আমাদের সকলের হতে এখন মোবাইল ফোন আছে এবং মোবাইলে আবেদন করা তুনলামুলক সহজ ।
তাহলে আর বেশি কথা না বলে চলন কাজ শুরু করি ।
জাতীয় পরিচয়পত্র এর ভুল সংশোধন করতে যেসব কাগজ লাগবে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার পদ্ধতি দেখার আগে , আমাদেরকে জানার প্রয়োজন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কী কি কাগজপত্র লাগবে।
এক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে আমাদেরকে কিছু কাগজপত্র সংশোধনের আবেদনের সময় অনলাইনে আপলোড করতে হবে ।
আসুন জেনে নেই কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন।
আরো পড়ুন,
আপনার নাম, নামের বানান, পিতার নাম , মাতার নাম বা তাদের নামের বানান ,আপনার বয়স যদি ভুল থাকে তাহলে এটা সংশোধন করার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন ,আপনার বিভিন্ন পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা এডমিট কার্ড সহ যেসব কাগজপত্রে এইসব তথ্য উল্লেখ আছে সেগুলো আপলোড করতে পারবেন।
রক্তের গ্রুপ ভুল থাকলে কোন মেডিকেল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করিয়ে রিপোর্টার ছবি দিতে হবে ।
এছাড়াও আপনার পিতার নাম, মাতার নাম ভুল থাকলে আপনার পিতা অথবা মাতার যারটা ভুল, তার আইডি কার্ড এবং আপনার সকল ভাই বোনের আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের ছবি আপলোড করতে হবে।
সকল প্রকার তথ্য সমৃদ্ধ কাগজপত্র এখানে গ্রহণ করা হয় ।
যেমন ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি বা গ্যাসের বিল, পরীক্ষার এডমিট কার্ড বা সার্টিফিকেট, যেকোনো প্রকার পেমেন্ট স্লিপ, মেডিকেল রিপোর্ট বা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি ।
যে কোন কাগজ এখানে নেওয়া হয় অর্থাৎ আপনাকে যেকোনোভাবে কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে ওই তথ্যটি ভুল আছে এবং সঠিক টি উক্ত কাগজে উল্লেখ থাকতে হবে।
আপনার প্রতিটি কাগজের ছবি তুলতে হবে ।
ছবির সাইজ অবশ্যই ১ এমবির চেয়ে কম হবে হবে ।
সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ভ
অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন করতে খরচ
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর আবেদন দুই প্রকার হয়ে থাকে ।
একটা হল জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন এবং অন্যটি অন্যান্য তথ্য সংশোধন ।
জাতীয় তোর পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধন: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের যে প্রিন্ট করা কপিটি আপনি ব্যবহার করেন ; সেখানে যদি কোন প্রকার তথ্য ভুল থাকে ।
তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে আবেদন ফী ২৩০ টাকা ।
অন্যান্য তথ্য সংশোধন: আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ছাড়াও আরো অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজে নেওয়া হয়ে থাকে ।
যেমন স্বামীর নাম বা স্ত্রীর নাম, আপনার পিতা-মাতা এন আইডি কার্ডের নম্বর ,তাদের মৃত্যু হলে মৃত্যুর তারিখ সহ আরো অনেক তথ্য ।
এই সকল তথ্যের যদি ভুল থাকে অথবা আপনি আপডেট করতে চান ।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে ।
এক্ষেত্রে আবেদন ফী মাত্র ১৪৫ টাকা ।
আপনাকে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে না
অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আমরা একটু পরেই আবেদন করার প্রক্রিয়া দেখব ।
সেখানে আবেদন করার এক পর্যায়ে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য যখন আমাদেরকে বলা হবে ।
তখন আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন না অন্যান্য তথ্য সংশোধন এই বিষয়টি সিলেক্ট করে বিকাশ ,রকেট অথবা নগদ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করব ।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার পদ্ধতি
নিচে আমি ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের পদ্ধতি দেখিয়েছি ।
এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ; তাই আপনি মন দিয়ে এই অংশটি যদি ভালো করে পড়েন ,
তাহলে আপনি নিজে নিজেই জাতীয় পরিচয় পত্র ঘরে বসেই আপনার মোবাইলের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারবেন ।
প্রতিটি ধাপের সাথেই আমরা ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি ।
যাতে আপনার বুঝতে সুবিধা হয় ।
তারপরেও যদি আপনার বুঝতে কোন প্রকার অসুবিধা হয় ।
তাহলে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।
আমরা অতি দ্রুত আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব ।
নিচের প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার পর, তার নিচে ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।
সবার প্রথমে আপনি চলে যাবেন প্লে স্টোরে ।
প্লে স্টোর থেকে NID Wallet নামে অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন এবং তারপরে ইন্সটল করবেন ।
অ্যাপটি ইন্সটল করে রেখে দেবেন । আপাদত এই অ্যাপের কোন কাজ নাই
এবার আপনার ফোনের ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করুন । ।
এবং এই লিংকে প্রবেশ করুন ।
প্রবেশ করার পর আপনি নিচের মত একটি পেজে চলে যাবেন ।
সেখান থেকে “রেজিস্টার করুন” লেখায় ক্লিক করুন ক্লিক করুন ।
এ পর্যায়ে আপনি নিচের মতো একটি ফর্ম দেখতে পারবেন ।
এখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর , আপনার জন্ম তারিখ, জন্মের মাস এবং সাল লিখুন।
তার পরের ঘরের উপরে দেখুন কিছু অক্ষর ( ক্যাপচা )লেখা আছে ওই অক্ষর গুলোকে ওই ঘরে লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন ।
এবার আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী বিভাগ ,জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করে সাবমিট করুন।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বানানোর জন্য যখন আপনি তথ্য দিয়েছিলেন ।
তখন যদি আপনি আপনার ফোন নম্বর দিয়ে থাকেন, তাহলে সেখানে আপনার ফোন নম্বর শো করবে ।
অথবা আপনি যদি ফোন নম্বর দিয়ে না থাকেন, তাহলে ফোন নম্বর অ্যাড করার অপশন পাবেন ।
সেখানে ওকে করে আপনি আপনার ফোন নম্বর দিয়ে দিবেন ।
অথবা যদি আপনার আগের দেওয়া ফোন নাম্বারে মেসেজ না আসে বা সিমটি হারিয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার ফোন নম্বর পরিবর্তন করে দিতে পারবেন ।
অবশ্যই আপনি যে ফোন নম্বরটি সেখানে দিবেন সেটি সচল রাখতে হবে উক্ত সময়ে।
এবার আপনাকে একটি পেজে নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে ছয় সংখ্যা একটি কোড চাইছে।
শেষ পর্যায়ে আপনি যেই ফোন নম্বরটি দিয়েছেন ওই নম্বরে একটি মেসেজ এসেছে এবং সেখানে ছয় সংখ্যার একটি কোড আছে।
সেই কোডটি এর এখানে বসিয়ে সাবমিট করুন।
এবার একটু নিচে নেমে দেখুন বড় গোল লাল একটি বোতামে লেখা আছে Tap to open NID wallet সেখানে ক্লিক করুন ।
সেটা আপনাকে আপনার মোবাইলের প্রথমে ইন্সটল করা অ্যাপটিতে নিয়ে যাবে ।
এবারে এই অ্যাপটি ক্যামেরার পারমিশন চাইতে পারে । আপনি সেটি Allow করে দিবেন।
এবার আপনার ফোনে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ওপেন হয়ে যাবে এবং আপনার সামনের ক্যামেরাটি অন হয়ে যাবে ।
এবারে যে ব্যক্তি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করবেন তাকে ক্যামেরার সামনে তার মুখটি প্রথমে নিচের ছবির মত করে সোজাসুজি রাখবেন স্ক্রিনের নিচের দিকের মধ্যের ছবিটি সবুজ হবে, তারপরে হালকা বাম পাশে ঘুরাবেন নিচের দিকে বাম পাশের ছবিটি যদি সবুজ হয়ে যায় তাহলে আপনার মুখটি হালকা ডান পাশে ঘোরাবেন ।
ডান পাশে ঘোরানোর পরে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আপনাকে ওকে করতে বলবে সে সময় আপনি ওকে বোতামে ক্লিক করবেন ।
এবার আপনাকে আবার পুনরায় আপনার ফোনের ব্রাউজারে নিয়ে যাবে।
আপনার ফোনের ব্রাউজারে আসার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন ।
এই সময় হয়তো আপনার মোবাইলে স্ক্রিনে লাল রঙে লেখা উঠতে পারে “নেটওয়ার্ক সংযোগে সমস্যা হয়েছে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন” এতে বিচলিত হবেন না এবং ফোনের স্ক্রিনে কোন প্রকার টাচ করবেন না ।
এভাবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন দেখবেন একাই আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রোফাইলে নিয়ে যাবে।
আমরা জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রোফাইলে আসার পর বিস্তারিত প্রোফাইল নামের বোতামে ক্লিক করুন।
এ পর্যায়ে আপনি আপনার বিস্তারিত প্রোফাইল দেখতে পারবেন।
আপনার বিস্তারিত প্রোফাইল পেইজে আসার পর উপরের দিকে দেখুন এডিট নামের একটি অপশন রয়েছে।
সেখানে ক্লিক করুন তাহলে আপনি নিচের মত একটি পেজে চলে যাবেন।
এখানে আপনি বহালে ক্লিক করবেন।
এবার আসে মূল কাজ এখন আপনি আপনার প্রতিটি তথ্য আগের মতই দেখতে পাবেন ।
কিন্তু এবার দেখবেন প্রতিটি তথ্যের বাম পাশে একটি বক্স রয়েছে ।
এখন যেই তথ্যটি আপনার ভুল রয়েছে তার পাশের বক্সে ক্লিক করুন ।
দেখবেন টিক মার্ক দেওয়া হবে এবং আপনি উক্ত তথ্যটি এবার পরিবর্তন করতে পারবেন ।
আপনার যে তথ্যগুলো ভুল রয়েছে সেগুলোর বাম পাশে ক্লিক করে আপনি সঠিক তথ্যগুলো এখানে লিখে দিবেন।
আপনি ভুল তথ্য গুলো সঠিক করে দিয়ে এবার স্ক্রল করে উপরে আসুন এবং পরবর্তী লেখায় ক্লিক করুন ।
তাহলে আপনি নিচের মত একটি পেজে চলে আসবেন ।
এখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনি কোন কোন তথ্য পরিবর্তন করতেছেন ।
এই তথ্যগুলো আগে কি ছিল এবং পরিবর্তন করার পর কি হচ্ছে ।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করুন।
এবার আমরা এমন একটি পেজে আসবো যেখানে লেখা আছে Deposited BDT 0 । অর্থাৎ আমরা কোন টাকায় ডিপোজিট করি নাই ।
এবার আমাদের টাকা ডিপোজিট করতে হবে ।
আমরা যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং যেমন: রকেট বা বিকাশের মাধ্যমে এখানে টাকাটি ডিপোজিট করব ।
নিচে দেখুন কোন ধরনের ডিপোজিট করতে হবে তা নিজেই লেখা আছে যা সম্পর্কে আমরা আগে আলোচনা করেছি এবার এবার নিচের অনুযায়ী আমাদেরকে টাকা টাকা রিপোজিট করতে হবে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফী পরিশোধ করার নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিতে চাইলে পে বিল থেকে গভমেন্ট ফী থেকে EC Bangladesh সিলেক্ট করতে হবে ।
কোন ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য টাকা দিয়েছেন সেটা এবং তারপর যে NID কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন তার নম্বর লিখে বিল পে করতে হবে।
এক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে।
সেটি হল বিল পে করার জন্য যখন আপনি এনআইডি নাম্বারটি দিবেন ।
তখন হয়তো লেখা আসতে পারে শুধু ১০ সংখ্যা এবং 17 সংখ্যা এনআইডি নাম্বার নেওয়া হয় ।
অনেক সময় দেখা যায় পুরাতন কিছুদিন আইডিতে ১৩ সংখ্যার এন আই ডি নম্বর থাকে ।
সেক্ষেত্রে তো এনআইডি নাম্বার দেওয়ার আগে ওই আইডি কার্ডের চার সংখ্যার জন্ম সাল দিবেন ।
তারপরে ১৩ সংখ্যা এনআইডি কার্ড নাম্বারটি দিবেন তাহলে ১৭ সংখ্যা হয়ে যাবে ।
এবার সুন্দরভাবে আপনি আপনার পেমেন্টটি করতে পারবেন।
একইভাবে আপনি রকেটে এবং নগদের মাধ্যমেও টাকা দিতে পারবেন ।
এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস পে ব্যবহার করেও এই টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন ।
যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ বিকাশ ব্যবহার করে ।
তাই আমি বিকাশ দিয়ে দেখালাম ।
আপনারা যদি রকেট অথবা নগদের মাধ্যমে দেখতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
এবার আবার Chrome ব্রাউজারে ফিরে যান এবং পেজটিকে রিলোড করুন ।
তাহলে আপনি কত টাকা জমা দিয়েছেন এবার সেটি দেখতে পাবেন এবং পরবর্তী ধাপে ক্লিক করুন।
এখন তথ্য সংশোধনের সাপেক্ষে কিছু প্রমাণ হিসেবে কাগজপত্র দেখাতে হবে ।
কোন কোন কাগজপত্র দেওয়া যাবে সেগুলো নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি ।
এবার আপনি আগে থেকে ছবি তুলে রাখা কাগজপত্র গুলো তাদের ধরন অনুযায়ী সিলেক্ট করুন ।
যদি ওই ধরনটি এখানে না থাকে তাহলে Others সিলেক্ট করুন এবং আপলোড বাটনে ক্লিক করুন ।
তাহলে আপনাকে আপনার ফোনে ডিরেক্টরিতে নিয়ে যাবে ।
সেখান থেকে আপনি উক্ত ফাইলটি সিলেক্ট করে আপলোড করতে পারবেন ।
আপনার সকল তথ্য আপলোড করা হলে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করুন ।
এবার আপনি কোন কোন তথ্য পরিবর্তন করতেছেন এবং কি কি ফাইল আপলোড করেছেন ।
সেগুলো এখানে দেখতে পারবেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাবমিট করে দিন ।
ব্যাস আপনার আবেদন করা হয়ে গেছে ।
এবার আপনি আপনার প্রোফাইলে ফিরে আসুন ।
দেখতে পারবেন লেখা রয়েছে আপনার একটি আবেদন পেন্ডিং রয়েছে ।
প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই এর ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয় ।
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার তথ্য সংশোধন করে দেওয়া হবে ।
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন ।
ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিবেন ।
ব্যাস আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন গেল ।
অনলাইনে আইডি কার্ডে সংশোধনের আবেদন করার পরে করনীয়
আপনি যদি সফলভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করে থাকেন ।
তারপর থেকে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ।
প্রায় এক সপ্তাহ মতো অপেক্ষা করতে হবে ।
আমি যতবার আবেদন করেছি এক সপ্তাহের ভিতরেই আমার তথ্য আপডেট হয়ে গিয়েছে ।
যদি আপনার তথ্য দিয়ে তারা সন্তুষ্ট না হয় তাহলে আপনার ফোনে মেসেজ আসবে এবং আরও কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে বলবে ।
সেক্ষেত্রে ১০ দিন মতো সময় থাকে ।
১০ দিনের ভিতরে আপনাকে ওই তথ্যগুলো পুনরায় দিতে হবে ।
এক্ষেত্রে নতুন করে কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না উ।
পরে উল্লেখিত আবেদন করার পদ্ধতির মত করে আপনি এগোতে থাকবেন ।
যে পর্যায়ে আপনি যেরকম রেখেছেন সেগুলো সেভাবেই দেখতে পাবেন ।
কিন্তু তারপরে তথ্য আপলোড করার সময় যে সকল তথ্য তারা মেসেজের মাধ্যমে চাইবে সেগুলো আপলোড করবেন।
একবার আমার এক আত্মীয়ের পিতার নামে বানান ভুল ছিল ।
সেটা সংশোধন করার জন্য তার জন্ম নিবন্ধন এবং শিক্ষাগত সার্টিফিকেট এবং এডমিট কার্ড আমি আপলোড করে আবেদন করি ।
সে ক্ষেত্রে তাকে আবার মেসেজ করে জানিয়ে দেয় যে, পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সকল ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি নতুন করে দিতে হবে ।
তারপর আমি তাদের নির্দেশ মতো তার পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র ছবি এবং তার সকল ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি আপলোড করে দেই ।
তার কিছুদিনের মধ্যেই তার জাতীয় পরিচয়পত্র টি সংশোধন হয়ে যায়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হয়ে গেলে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে, লেমিনেটিং করে নিবেন ।
আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর আবেদন করার পরে আপনার করনীয় কি।
আমার শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আশা করি আপনাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার পদ্ধতি জানাতে পেরেছি ।
যদি কোন বিষয় আপনার বুঝতে সমস্যা হয় ।
তাহলে তৎক্ষণাৎ কমেন্ট করুন আমি আপনাকে রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ।
আশা করি যদি পোস্টটি আপনি ভালো করে পড়ে থাকেন ।
তাহলে এখন নিজে নিজেই আপনার নিজের অথবা আপনার চেনা জানা মানুষজনের জাতীয় পরিচয় সংশোধন করিয়ে দিতে পারবেন ।
পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন ।
খারাপ লাগলেও কমেন্ট করে জানাতে পারেন ,কোন সমস্যা নেই ।
এরকম আরো নতুন নতুন তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পেতে আমাদের এই ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ।
এছাড়াও আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন ।
আজকের মত এটুকুই থাক এ পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
সবকিছু ঠিক থাকলে অনলাইনের আবেদন করার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে ।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে জিডি করা ছাড়া কি পুনরায় উত্তোলন করা সম্ভব?
যদি আপনি নতুন ভোটার হন তাহলে আপনি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু পুরাতন ভোটার হলে থানায় জিডি করতে হবে । আবার আপনি পুরাতন ভোটার হয়েও যদি অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন করেন । তাহলেও অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?
এনআইডি কার্ড এর তথ্য সংশোধন করতে ২৩০ টাকা । অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা । এবং উভয় তথ্য সংশোধন করতে ৩৪৫ টাকা লাগে ।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
যদি আপনি নতুন ভোটার হন তাহলে আপনি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু পুরাতন ভোটার হলে থানায় জিডি করতে হবে । আবার আপনি পুরাতন ভোটার হয়েও যদি অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন করেন । তাহলেও অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?
উক্ত সংশোধনের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে, যে কোন প্রকার কাগজপত্র গ্রহণ করা হয় । যেমন: জন্ম নিবন্ধন, পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা অ্যাডমিট কার্ড, মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি ।