আপনি পূবালী ব্যাংক লোন নেওয়ার কথা ভাবছেন । কিন্তু কিভাবে নিবেন , কত টাকা পাওয়া যাবে , কী কী কাগজপত্র লাগবে , কত সময় লাগবে ইত্যাদি সম্পর্কে জানেন না । তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য ।
আজকে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সকল ফরমালিটি সম্পর্কে জানব এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে ।
পূবালী ব্যাংক প্রায় ৯টি ক্যাটাগরিতে লোন দিয়ে থাকে । সর্বোচ্চ কত টাকা লোন পাওয়া যাবে, কী কী কাগজপত্র লাগবে , লোন পেতে সময় কেমন লাগবে , লোন পেতে কি কি দেখতে হবে এগুলো নির্ভর করবে , আপনি কোন ক্যাটাগরিতে লোন নিচ্ছেন ।
নিচে আমি প্রতিটি ক্যাটাগরির নাম এবং প্রতিটি ক্যাটাগরি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে লিখেছি । আপনি যেই ক্যাটাগরিতে লোন নিতে চান, তার উপর ক্লিক করুন। তাহলে সেই ক্যাটাগরি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।
আরো পড়ুন,
পূবালী ব্যাংক ব্যক্তিগত লোন
পূবালী ব্যাংকের personal Loan বা ব্যক্তিগত ঋণ গ্রাহকের যেকোন ব্যক্তিগত বা পরিবারের চাহিদা পূরনের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে ।
টাকার পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা অথবা ব্যক্তিগত বা পরিবারের আয়ের ২০ গুন পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে ।
লোন পাওয়ার ১২ মাস থেকে ৬০ মাসের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে এবং সুদের হার নির্দিষ্ট নয় ।
ঋণের ০.৫০ শতাংশ টাকা প্রসেসিং ফী হিসেবে কাটা হবে এবং কোন হিডেন চার্জ বা গোপন ফী নেই ।
বেশি কিছু কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকে হবে ।
- বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- চাকরি করলে মাসিক বেতন ১০,০০০ টাকা বা দশ হাজার টাকা হতে হবে । পেশা ব্যবসা বা অন্য কিছু হলে মাসিক ইনকাম ২৫,০০০ টাকা বা পঁচিশ হাজার টাকা হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
পূবালী ব্যাংক কার লোন
গাড়ির দামের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক লোন হিসেবে পাওয়া যাবে , যা ৫ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে ।
পরিশোধের সময় ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং সুদের হার ৯ শতাংশ ।
প্রসেসিং ফি লোনের .৫০ শতাংশ কিন্তু সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা এবং কোন হিডেন চার্জ নেই ।
বেশি কিছু কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত হতে হবে এবং মাসিক ইনকাম ইন্সটলমেন্টের ৩ গুন হতে হবে ।
- গ্রাহককে অবশ্যই ট্যাক্স প্রদানকারী হয়ে হবে এবং ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ থাকতে হবে ।
- গাড়িটি অবশ্যই ব্যবসায়িক কাজের জন্য নিতে পারবেন না এবং অবশ্যই নতুন অথবা রিকন্ডিশন হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
- এ ছাড়াও গাড়ির ডিলারদের কাছ থেকে গাড়ির উদ্ধৃতি আবেদনকারীর দ্বারা যথাযথভাবে গৃহীত হতে হবে ।
হাউস রিনোভেশন লোন
বাড়ি এবং ফ্ল্যাট পুন:নির্মাণ করা বা আরও বড় করার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয় থাকে।
লোনের পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হয় ।
১২ মাস থেকে ১২০ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং সুদের হার ৯ শতাংশ ।
লোন প্রসেসিং ফি লোনের .৫০ শতাংশ কিন্তু ২০,০০০ টাকার বেশি নয় এবং কোন হিডেন চার্জ বা গোপন চার্জ নেই ।
বেশি কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- গ্রাহকের অবশ্যই নিজের বাড়ি থাকতে হবে এবং অবশ্যই ট্যাক্স প্রদানকারী হতে হবে ।
- গ্রাহকের নির্দিষ্ট ইনকাম সোর্স থাকতে হবে এবং মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন মাসিক ইন্সটলমেন্টের দুই গুণ ( অন্যান্য ঋণ যদি থাকে, সেগুলোর মাসিক ইন্সটলমেন্ট সহ ) হতে হবে ।
- ঋণের ৫০ শতাংশ পরিশোধের পর গ্রাহক চাইলে আবার এই লোন নিয়ে পারবেন এবং ঋণ পরিশোধ পর্যন্ত গ্রাহকের বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
- এগুলো ছাড়াও বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে ।
পূবালী আবাসন
টিন শেড থেকে পাকা দালান করা, বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করা কিংবা বাড়ির সংস্কার করার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়।
লোনের পরিমাণ ২ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে এবং বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকার ৩০ শতাংশ গ্রহকে দিতে হবে এবং বাকি ৭০ শতাংশের জন্য লোন পাওয়া যাবে।
২৪ মাস থেকে ১৮০ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং সুদের হার ৯ শতাংশ ।
লোন প্রসেসিং ফি লোনের .৫০ শতাংশ কিন্তু ২০,০০০ টাকার বেশি নয় এবং কোন হিডেন চার্জ বা গোপন চার্জ নেই ।
বেশি কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- যে কোন বাংলাদেশি নাগরিক যার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা রয়েছে তিনি এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। লোন পরিশোধ পর্যন্ত গ্রাহকের বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।
- গ্রাহকের অবশ্যই নিজের বাড়ি / ফ্ল্যাট থাকতে হবে এবং ট্যাক্স প্রদানকারী হতে হবে ।
- গ্রাহকের নির্দিষ্ট ইনকাম সোর্স থাকতে হবে এবং মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন মাসিক ইন্সটলমেন্টের দুই গুণ ( অন্যান্য ঋণ যদি থাকে, সেগুলোর মাসিক ইন্সটলমেন্ট সহ ) হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
- এগুলো ছাড়াও বাড়ির কাগজপত্র প্রয়োজন হবে ।
পূবালী ব্যাংক ফ্ল্যাট ক্রয় লোন
বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা চেম্বার বা অফিস কেনার জন্য এই লোন দেওয়া হয়ে থাকে ।
ফ্ল্যাট বা বাড়ির দামের ৭০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে যা সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
লোন ১৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে এবং সুদের হার ৯ শতাংশ ।
লোনের .৫০ শতাংশ লোন প্রসেসিং ফি হিসেবে কাটা হবে এবং কোন হিডেন চার্জ বা গোপন চার্জ নেই।
বেশি কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
বাংলাদেশি নাগরিক যে ট্যাক্স প্রদান করে এবং ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা রয়েছে । সেই ব্যক্তি এই ঋণ নিতে পারবে । বাংলাদেশি নাগরিক নয় যারা , তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ নিতে পারবেন ।
অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে হবে ।
গ্রাহকের বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
গ্রাহকের নির্দিষ্ট ইনকাম সোর্স থাকতে হবে এবং ট্যাক্স প্রদানকারী হতে হবে।
মাসিক ইনকাম নির্দিষ্ট থাকতে হবে এবং মাসিক ইনকাম ইন্সটলমেন্টের কমপক্ষে দ্বিগুণ হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
- এগুলো ছাড়াও বাড়ির কাগজপত্র প্রয়োজন হবে ।
শিক্ষক ঋণ স্কিম
যে কোন কারণে শিক্ষ্কদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যে কোন শিক্ষ্ক এই লোন নিতে পারবেন ।
লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা যা ২৪ থেকে ৬০ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সুদের পরিমাণ ৮ শতাংশ । ঋণের .৫০ শতাংশ প্রসেসিং ফী হিসেবে কাটা হয় এবং কোন হিডেন চার্জ নেই।
বেশি কাগজপত্রের ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
গ্রাহককে অবশ্যই যে কোন সরকারি বা আধা সরকারি বিদ্যালয়। যেমন: প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে । এবং যাদের বেতন পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন ।
মাসিক ইনকাম অন্যান্য ঋণ সহ ( যদি থাকে ) কমপক্ষে ইন্সটলমেন্টের দ্বিগুণ হতে হবে।
ঋণ পরিশোধ হওয়ার সময় বয়স সর্বোচ্চ ৫৯ বছর হতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- সর্বনিম্ন 6 মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- স্যালারি সার্টিফিকেট ।
পূবালী ব্যাংক বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য লোন
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন খরচ যেমন: বোর্ডিং খরচ , টিউশন ফি ইত্যাদি দেওয়ার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা যা ১২ মাস থেকে ৬০ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সুদের হার ৯ শতাংশ এবং লোনের .৫০ শতাংশ প্রসেসিং ফি হিসেবে কাটা হয়। এছাড়া অন্য কোন চার্জ নেই ।
কাগজপত্রের খুব একটা ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- ঋণ গ্রাহককে ছাত্রের অভিভাবক হতে হবে এবং অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
- লোন গ্রাহকের অবশ্যই নির্দিষ্ট আয়ের উৎস থাকতে হবে এবং মাসিক ইনকাম ইন্সটলমেন্টের ৩গুণ হতে হবে ।
- ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এবং লোন পরিশোধ করা পর্যন্ত বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ট্যাক্স রিটার্ন বা ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যদি লোনের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় ।
- সর্বনিম্ন ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন জন্য ইউটিলিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ , গ্যাস বা পানির বিলের ফটোকপি ।
- বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে পাওয়া অফার লেটার এবং ওই বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রফাইল ।
- পড়ালেখার খরচের পরিকল্পনা এবং IELTS, TOEFL ( যদি থাকে ) সহ সকল প্রকার সার্টিফিকেটের ফটোকপি ।
House Hold Durable Loan
পরিবারের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কেনার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়।
যেই জিনিস কিনবেন তার ৩০ শতাংশ লোন হিসেবে দেওয়া হয়, যা সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । যা ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সুদের হার ৯ শতাংশ এবং ঋণের .৫০ শতাংশ লোন প্রসেসিং ফি হিসেবে কাটা হবে।
অন্য কোন চার্জ নেই । কাগজপত্রের খুব একটা ঝামেলা নেই এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । তাছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- যে কোন বাংলাদেশি নাগরিক যার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট আয়ের উৎস রয়েছে । যেমন: সরকারি, বেসরকারি , কর্পোরেট , এনজিও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
- মাসিক ইনকাম অন্যান্য ঋণ সহ ( যদি থাকে ) ইন্সটলমেন্টের ২ গুণ বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে ।
- ছাড়াও লোন পরিশোধের সময় পর্যন্ত বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর এর মধ্যে হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- সর্বনিম্ন ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স সর্বনিম্ন দুই বছরের ।
- যেই বস্তু কেনা হবে তার সম্পর্কে তথ্য ।
- এগুলো ছাড়াও ব্যাংক অন্য কোন কাগজপত্র চাইতে পারে ।
পূবালী ব্যাংক চিকিৎসা সামগ্রী লোন
বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি যা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয় । যেমন: এক্স রে, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন , মেডিকেল বেড, ইসিজি মেশিন ইত্যাদি কেনার জন্য । বা ছোট আকারের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার জন্য এই লোন দেওয়া হয় ।
ক্রয়কৃত যন্ত্রের ৩০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যাবে । যা ৩৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সুদের হার ৯ শতাংশ এবং ঋণের .৫০ শতাংশ টাকা প্রসেসিং ফি হিসেবে কাটা হয় । এ ছাড়া অন্য কোন চার্জ বা ফী নেই ।
কাগজপত্রের ঝামেলা কম এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে । এ ছাড়াও প্রাথমিক এবং আংশিক নিষ্পত্তি সুযোগ রয়েছে ।
লোন পাওয়ার জন্য যা যা থাকতে হবে
- গ্রাহককে অবশ্যই বাংলাদেশি প্রক্টিসিং ফিজিশিয়ান বা সার্জন হতে হবে ।
- BMA বা চিকিৎসক হতে হবে ।
- কোন চাকরি করলে তার প্রমাণ পত্র এবং নিজের ব্যবসা বা অন্য কিছু করলে তার দুই বছরের রেকর্ড প্রয়োজন হবে ।
- মাসিক ইনকাম ইন্সটলমেন্টের তিন গুণ বা তার বেশি হতে হবে । এবং ঋণ পরিশোধ হওয়া পর্যন্ত বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- যেসব জিনিসপত্র কেনার জন্য ঋণ নিবেন, সেগুলো সম্পর্কে তথ্য।
- চাকুরীজীবী হলে তার প্রমানপত্র অথবা ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স ।
- এমবিবিএস বা বিডিএস সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনে অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হবে পারে ।
আমার শেষ কথা
আজকে আমি পূবালী ব্যাংকের সকল প্রকার ব্যক্তিগত লোন নিয়ে কথা বলেছি । আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য পেয়েছেন ।
দেখুন এখানে আমি শুধুমাত্র লোনের প্রকারভেদ এবং কী কী কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি । এই সকল কাগজ ছাড়াও আরো অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পরে ।
সঠিক তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ পূবালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন ।
আজকে একটুকুও থাক ।