হাদীস অস্বীকারকারীদের সাথে আমাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ? তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে কি? ?
যারা হাদীস অস্বীকার করেন অর্থাৎ হাদীসের প্রামাণ্যতা অস্বীকার করেন তারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রিয় নবী (স.) কে নিয়ে পর্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এবং প্রিয় নবী (স.) সম্পর্কে তাদের এমন এমন মন্তব্য আছে যেটি ইসলাম থেকে তাদেরকে খারিজ করে দেয়।
কেউ যদি মনে নবী কারীম (স.) এর হাদীস শুধুমাত্র তাঁর সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল পরবর্তীতে আর তাঁর নির্দেশ/ নিষেধ এগুলোর কার্যকর নেই। অথবা কেউ যদি মনে করে প্রিয় নবী (স.) এর আদেশ- নিষেধ গুলোকে কুরআনুল কারীম এর বাইরে নবী (স.) আদেশ- নিষেধ এবং তাঁর হাদীসগুলো মানতে হবে না তাহলে সেরকম ব্যক্তির কাফের হওয়ার ব্যাপারে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত ওলামায়ে কেরামই একমত- এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে, কারো কোনো দ্বিমত নেই। এবং এই হাদীস অস্বীকারের যে ফিতনা আমরা দেখতে পারছি ইনশা’আল্লাহ সেটিকে শতকরায় প্রকাশ করলে মুসলমানদের মধ্যে ০.১% হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
হাদীস অস্বীকারকারীদের সাথে আমাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ
এই গুটি কয়েক মানুষ তারা ইহুদিদের ক্রীড়ানক এবং খ্রিষ্টানদের ক্রীড়ানক। তারা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন এবং এদের সাথে আমাদের আচরণ হবে একজন বিভ্রান্ত মানুষের সাথে আমাদের আচরণ যেমন হওয়া উচিৎ।
তারা যদি কেউ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে থাকে তাহলে তাদের প্রতি আমাদের করুণা হবে, তাদের প্রতি আমাদের মায়া হবে এবং তাদেরকে আমরা সংশোধন করবার চেষ্টা করবো, বুঝানোর চেষ্টা করবো।
আর একইসাথে তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন জায়েয হবে না। কারণ নবী কারীম (স.) এর আদেশকে মানতে হবে না- এরকমটি যদি কেউ মনে করেন অথবা তাঁর হাদীসের প্রামাণ্যতাকে অস্বীকার করেন তাহলে সেক্ষেত্রে তার ইসলামে থাকার আর সুযোগ নেই অর্থাৎ সে ঈমানদার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কোনো সুযোগ আর থাকে না।
ভয়াবহ ফিতনা
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ ভয়াবহ ফিতনা থেকে বেচেঁ থাকার জন্য আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং যারা এই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছেন আমরা তাদেরকে আহŸান করবো সত্যের পথে, সুন্দর পথে আসার জন্য।
গোটা কুরআন যদি আপনি পড়েন, তাহলে দেখতে পারবেন কুরআনের পরতে পরতে নবী কারীম (স.) এর আদেশ- নিষেধগুলোকে মেনে চলার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবং এটাকে যারা ব্যাখ্যা করে বলেন যে, এখানে কুরআনের আদেশ আসেন তাহলে নবী কারীম (স.) কে আলাদাকরে আনুগত্য করার কথা আল্লাহ তা’আলা বলতেন না।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কথা মানো এবং রাসূল (স.) এর কথা মানো।’
এবং আল্লাহ তা’আলা এটিও বলেছেন, ‘যে রাসূলকে মানলো সে আল্লাহকে মানলো’ এবং আল্লাহ রাব্বুল আরো বলেছেন, ‘আপনার কাছে কুরআন নাযীল করা হয়েছে যাতে করে মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করে সেটি প্রকাশ করতে পারেন সেজন্য।’
তাই হাদীসে কথা যারা অস্বীকার করে তাদের সাথে আমাদের আচরণ হবে একজন বিভ্রান্ত মানুষের সাথে আমাদের যেরকম আচরণ হয়। অর্থাৎ তাদেরকে আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করবো, বুঝানোর চেষ্টা করবো।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই গোমরাহী থেকে আমাদেরকে এবং মুসলিম মিল্লাতকে হেফাজত করুন। কিয়ামতের আগে এরকম আরো কত রকমের গোমরাহী/ ফিতনা আসবে যা আমাদের অনেককেই হয়তো বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিবে। এজন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতে হয়, আল্লাহ আপনার কাছে প্রকাশ্য/ অপ্রকাশ্য সব ধরণের ফিতনা থেকে আমরা পনাহ চাই।