ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি ? ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে ?

যতই দিন যাচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে আমরা পরিচিত হচ্ছি । ব্লকচেইন তেমনি একটা।

আর এক একটা নতুন প্রযুক্তি আমাদের বিস্মিত ও অবাক করছে।ঠিক তেমনি নতুন ধরনের বিস্ময়কর প্রযুক্তি হলো ব্লকচেইন।

আজকের এই পোস্টে আমি সহজ বাংলা আলোচনা করব ব্লকচেইন কী?কিভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করে? ব্লকচেইন এর ব্যবহার, কেনোই বা এই প্রযুক্তি এর গুরুত্বপূর্ন,কোন কোন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে।

তবে সবার প্রথমে আমি কথা বলব, কেন ব্লকচেইন সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।তো চলেন ঝাঁপ মারি।

নিচের Topic List ইচ্ছামত টপিকে চলে যেতে পারেন।তবে আমি বলব মন দিয়ে সম্পূর্ন পোস্টটা পড়ার জন্য।যদি আপনার সময় না থাকে তবে অন্য কথা।

ব্লকচেইন

কেন ব্লকচেইন সম্পর্কে আপনার জানা উচিত ?

দেখেন যেভাবে দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে সেভাবে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ হচ্ছে না।

আমাদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য সবকিছু সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা থাকা উচিত।

তাছাড়াও আর কয়েক বছরের মধ্যে আমরা ব্লকচেইনের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই দেখতে পারব।

এমনকি বর্তমানেও ব্লকচেইনের ব্যবহার আমরা দেখতে পারছি।

ব্লকচেইনের মাধ্যমে যে কত চমৎকার বিষয় ঘটতে চলেছে তার সম্পর্কে আমাদের একটা স্পষ্ট দৃষ্টি (Clear Vision) থাকা উচিত।

এসব কারণেই আমি মনে করি ব্লকচেইন সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।

ব্লক চেইন কি ?

অনেক ফালতু বকবক করছি এবার কাজের কথায় আসি। ব্লকচেইন আসলে কি?

“ব্লকচেইন” শব্দটা ব্লক এবং চেইন (Block and Chain) শব্দ দুটির সমন্বয়ে গঠিত।ব্লক ( Block ) মানে আমরা আয়তাকার ঘন বস্তু কল্পনা করতে পারি।আর চেইন (Chain) ⛓️ মানে ওই ঘনবস্তু গুলো একটার সাথে আরেকটা চেইনের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে এটা কল্পনা করতে পারি।এই ঘন বস্তুগুলোর মধ্যে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং তা চেইনের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে।

ওই Blockchain মধ্যে নতুন কোন তথ্য যুক্ত করলে একটা নতুন ব্লকের সৃষ্টি হয় যা ওই ব্লকচেইনের সর্বশেষ ব্লকের সাথে নতুন তৈরি হওয়া একটা চেইনের মাধ্যমে যুক্ত হয় ।আর এই ব্লকগুলোকে চেইন নষ্ট করে আলাদা করা অসম্ভবের কাছাকাছি। 

ব্লকচেইন ডেভলপার কি

যারা ব্লক চেইন টেকনোলজি ব্যবহার করে যারা ব্লক চেইনের উপরে সফটওয়্যার তৈরি করে । অথবা ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক তৈরি করে । তাদেরকে ব্লক চেইন ডেভলপার বলে ।

ব্লক চেইন ডেভলপার দুই প্রকার হয় ।

  • কোর( Core ) ডেভলপার

যারা ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক তৈরি করে ( যেমন: ইথেরিয়াম) তাদের কে কোর ডেভলপার বলে । 

এজন্য তারা c/c++ এর মত প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে ।

  • অ্যাপ ডেভলপার

 যারা কোন একটি ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক ( যেমন: ইথেরিয়াম) এর উপরে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে তাদেরকে ব্লকচেইন অ্যাপ ডেভলপার বলে। 

ব্লকচেইন এ অ্যাপ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন স্মার্ট কন্টাক্ট লিখতে হয় । যার জন্য Solidity নামের প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়।

ব্লকচেইন এ অ্যাপ তৈরি করার জন্য Solidity, JavaScript ইত্যাদি প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়।

জেনেসিস ব্লক কী? What is Genesis Block?

আমরা দেখলাম ব্লকচেইনে নতুন ব্লক যুক্ত করলে সেটা তার পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে যুক্ত হয়। কিন্তু প্রথম ব্লকটার কী হয়?আসলে প্রথম ব্লকটা করো সাথে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে থাকে। এই প্রথম ব্লকটাকেই জেনেসিস ( Genesis ) ব্লক বলে।

ব্লকচেইনের জেনেসিস ব্লক

ব্লকের মধ্যে কী থাকে?

একটা ব্লকের মধ্যে তিনটা জিনিস থাকে।

  1. ওই ব্লকের Hash
  2. ঐ ব্লকের পূর্বের ব্লকের Hash
  3. আর নির্দিষ্ট তথ্য।
ব্লকচেইনের ব্লক

Hash কী?

হ্যাস

Hash হলো অনেক গুলো Random সংখ্যা(নম্বর) ও বর্ণ(Alphabet) দিয়ে তৈরি স্ট্রিং (String)।

প্রতিটা ব্লক তার পূর্বের ব্লকের Hash নিজের মধ্যে সংরক্ষণ করে ব্লকচেইন গঠন করে।

ব্লকচেইন এর উপাদান

একটা ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের বেশ কয়েকটি উপাদান থাকে।যেমন:

  1. হার্ডওয়্যার: ব্লকচেইনে নতুন নোড বা ব্লক যুক্ত করতে নির্দিষ্ট কাজ করতে হয় যা নির্দিষ্ট কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা হয় যাকে Proof of work।এটি সম্পর্কে পরে বিস্তারিত জানব।
  2. Consensus: একটা নতুন ব্লক ব্লকচেইনে যুক্ত করতে নির্দিষ্ট কাজ করতে হয় এবং ওই ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের সদস্যদের সম্মতি লাগে একেই Consensus বলে।যেমন: Proof Of Work, Proof Of Stake । এই কাজগুলো বিটকয়েনের ক্ষেত্রে বিটকয়েনের মাইনররা করে থাকে ।আর বিটকয়েনের ট্রানজেকশন এ যে ফী কাটা হয় ,তা ব্লকচেইন মাইনররা পেয়ে থাকে।
  3. Data: আমরা জানি ব্লকচেইনের ব্লকে নির্দিষ্ট উপাত্ত রাখা হয়।বিটকয়েনের বা তার মতো অন্যান্য ক্রিপ্টকারেন্সির জন্য Transaction Details রাখা হয়।
  4. Smart Contact: ঐ ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের উপর তৈরি অ্যাপ্লিকেশনটি ওই ব্লকচেইনের সাথে কিভাবে কাজ করবে তা উল্লেখ করা থাকে ।যাকে Smart Contact বলে

আরও পড়ুন,

Web 3.0 কী?Web 3.0 কিভাবে কাজ করে?

Block Time:

একটা ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে নতুন ব্লক যুক্ত করতে নির্দিষ্ট কাজ করতে হয় সেটা আমরা একটু আগেই জেনেছি ।

এই কাজ করতে নির্দিষ্ট সময় লাগে (কেন ,সেটা একটু পরে বলছি )।বিটকয়েনের ক্ষেত্রে এটা প্রায় ১০ মিনিট এবং ইথেরিয়ামের ক্ষেত্রে এটা ১৪/১৫ সেকেন্ড।

Block Time

কেন Blockchain হ্যাক করা সম্ভব না।

আমরা একটু আগে জেনেছি কিভাবে প্রত্যেকটা ব্লক নিজেদের সাথে যুক্ত থাকে।মনে করি ,এবার আমরা একটা ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক হ্যাক করে তার মধ্যে থাকা তথ্য পাল্টে দিলাম।

তথ্য পাল্টে দিলে ওই ব্লকের Hash ও ব্লকচেইনের অ্যালগরিদম অনুযায়ী পাল্টে যাবে। যার ফলে ওই ব্লক এর Hash আর পরের ব্লকের সংরক্ষিত পূর্বের ব্লকের Hash মিলবে না।

ফলশ্রুতিতে ওই পুরো ব্লকচেইন invalid হয়ে যাবে।

আজকের দিনের কম্পিউটার এতটাই শক্তিশালী যে কয়ে সেকেন্ডে বিলিয়ন বিলিয়ন Hash তৈরি করতে পারে।

তাই একটা ব্লক চেইনের মধ্যে একটা নতুন ব্লক যুক্ত করতে ব্লক টাইম ব্যবহার করা হয়।

বিটকয়েনের মধ্যে প্রায় কয়েক মিলিয়ন ব্লক আছে।

একটা পরিবর্তন করতে ১০ মিনিট লাগলে পুরাটাই পরিবর্তন করতে যে কত সময় লাগবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা ।

ব্লকচেইনের প্রতিটা চেইনের কপি ঐ নেটওয়ার্কের প্রত্যেকের কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে।তাই এক সাথে প্রত্যেকের কম্পিউটার হ্যাক করাও প্রায় অসম্ভব।

আমরা দেখলাম দুই ভাবে একটা ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক হ্যাক করা অসম্ভব।

Hard Forks কী? What is Hard Forks?

যদি একটা ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মূল অ্যালগরিদম এ কোন দুর্বলতা (Vernability) দেখা দেয় ,তখন সেটাকে পরিবর্তন করা হয়।

এই পরিবর্তনের পরে যদি কিছু ব্যবহারকারী আগের নিয়ম অনুসরণ করে আর কিছু ব্যবহারকারী পরের নিয়ম অনসরণ করে তবে নেটওয়ার্কটি দুভাবে বিভক্ত হয়।একেই Hard Forks বলে।

যেমন: ২০১৬ সালে Ethereum দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে Ethereum ও Ethereum Classic এ পরিনত হয়।

Hard Forks

ব্লকচেইন এর প্রকারভেদ? Types of Blockchain

ব্লকচেইন মূলত চার প্রকার।

  1. Public Blockchain: পাবলিক ব্লকচেইনে একটা কম্পিউটার এর সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে যেকেউ ওই ব্লকচেইনের সদস্য হতে পারবে।
  2. Private Blockchain: এক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এর অনুমতি ছাড়া কেউই ওই নেটওয়ার্কের সদস্য হতে পারবে না ।
  3. Hybrid Blockchain: আমরা জানি ব্লকচেইন মূলত Decentralized। কিন্তু কিছু ব্লকচেইনের কিছুটা Centralized অর্থাৎ কিছুটা ওই নেটওয়ার্কের অথরিটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আর কিছুটা Decentralized অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ।একে হাইব্রিড ব্লকচেইন বলে।
  4. Sidechain: একটি সাইডচেইন একটা ব্লকচেইনের সমান্তরালে চলে।যেখানে মূল ব্লকচেইনের ব্লকগুলো পরস্পর লিংক করা থাকে।কিছু ক্ষেত্রে এটা স্বাধীনভাবে নিজস্ব Digital Contact বা নিজস্ব অ্যালগরিদম ব্যবহার করে।

ব্লকচেইন এর ব্যবহার

আজকের দিনে শুধুমাত্র ক্রিপ্টকারেন্সি আর Nft এর মধ্যেই ব্লকচেইনের ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে ব্লকচেইন ব্যবহার করে অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হতে চলেছে।

যেমন: মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন,ভোটিং মেশিন প্রভৃতি ।

এছাড়াও ব্লকচেইনের কিছু ব্যবহার আমি নিচে উল্লেখ করছি।

  1. Cryptocurrencies: আমরা জানি সাতোশি নাকামোতো(Sathoshi Nakamoto) নামের এক ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তির গ্রুপ ২০০৮ সালে বিটকয়েন তৈরি করেছে।যার ফলে কোন মধ্যবর্তী সংস্থা ছাড়াই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বিটকয়েনের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় ।
  2. Smart contracts: আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লেনদেনের কট্রাক করে থাকি।যা কোন মধ্যবর্তী সংস্থা নিয়ন্ত্রন করে।ব্লকচেইনের মাধ্যমে একইকাজ একদম সচ্ছতার সাথে করা সম্ভব।
  3. Financial services: বিভিন্ন ব্যাংক,বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে ব্লকোচেইনের ব্যবহার করে কাজ করা সম্ভব।যার ফলে তাদের তথ্য সুরক্ষিত ভাবে সংরক্ষণ এবং নিরাপদ থাকবে।অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কাজে ব্লকোচেইন ব্যবহার করায় ইচ্ছা প্রকাশ করছে।”Reason” এবং “IBM” এর স্টাডিতে এমনটাই উঠে এসেছে।
  4. Games: ভিডিও গেমের মধ্যে ব্লকচেইনের ব্যবহার ব্যাপক ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে ।বিশেষ করে Nft এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যারেকটার,স্কিন,আরো অনেক কিছু ব্যবহার করা যায়।বিস্তারিত বললে,মনে করেন আপনি PUBG mobile এ একটা ড্রেস কিনলেন এর ফলে আপনি ওই ড্রেসের একটা Nft পাবেন। এবার আপনি ওই Nft ব্যবহার করে ওই একই স্কিন Free Fire গেমেও ব্যবহার করতে পারবেন।যদি PUBG এবং Free Fire ব্লকচেইন ব্যবহার করে।বিভিন্ন ধরনের গেম ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে যারা ব্লকচেইন ব্যবহার করে।প্রথম যেই গেমটা ব্লকচেইন ব্যবহার করে তার নাম CryptoKitties।এখানে ইথেরিয়াম ব্যবহার করা হয় ।
  5. Supply chain: বিভিন্ন ধরনের সাপ্লাই চেইনের মধ্যে ব্লকচেইন ব্যবহার করা হয় যেমন,দামি পাথর বা ধাতু ব্যবস্হাপনায়।Dimond Trading Company(DTC) হীরার জন্য Tracr নামে ব্লকচেইনের মধ্যে একটা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেছে।এছাড়াও খাদ্য দ্রব্য বিপনন ও ব্যবস্থাপনায়,ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রিতে ব্লকচেইনের ব্যবহার নিয়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি যেমন: IBM,Walmart আরো অনেকে কাজ করছে।
  6. Domain Names: ব্লকচেইনের মাধ্যমে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত করা যাচ্ছে। “.bit”, “.eth”, “.luxe”, “.kred”  কিছু টপ লেভেল ডোমেইন যা ব্লকচেইনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় ।
  7. এছড়াও ব্যবসায়,বিভিন্ন ডিজিটাল সম্পদ যেমন: গান ,ছবি, ভিডিও ইত্যাদির মালিকানা প্রমাণে,ডাটাবেজ এ,আইওটি সহ আরো নানা ক্ষেত্রে ব্লকচেইনের ব্যবহার করা যাবে যা লিখে শেষ করা যাবে না।
ক্রিপ্টকারেন্সি
ব্লকচেইন Smart contract

আরও পড়ুন,

অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়

ব্লকচেইন এর খারাপ দিক

নিউটন অংকেলের কথাটা মনে আছেতো।”প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে” এখানেও একই কথা প্রযজ্য।

ব্লকচেইনের কিছু খারাপ দিক নিচে উল্লেখ করা হলো,

1. Energy consumption concerns:

আগেই বলেছি একটা নতুন ব্লক অ্যাড করতে নিদৃষ্ট কাজ করতে হয় যা। বিটকয়েনের ক্ষেত্রে মাইনররা করে থাকে।এই কাজে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন।

যেমন একটা বিটকয়েন transaction এর জন্য ৭০৮ কিলোওয়াট – ঘণ্টা বা ৭০৮ ইউনিট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন যা U.S এর একটা বাড়ির ২৪ দিনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে।

তাহলে চিন্তা করেন দিনে কতগুলো বিটকয়েনের transaction হয়।আর আমাদের পরিবেশের কী পরিমান ক্ষতি হয়!!

2. Misuse

ছড়াও যেহেতু এখানে কোন মনিটরিং ব্যবস্হা নেই তাই এটাকে ইলিগ্যাল কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমার শেষ কথা:

আগামীতে ব্লকচেইনের ব্যবহার যে দুনিয়াকে পাল্টে দিবে তাতে করো কোন সন্দেহ নাই।

এটার সাথে কী আপনি একমত?

কমেন্টে জানাতে পারেন।

আর একমত না হলে তাও জানাতে পারেন।

ও হ্যা,কেন আমার সাথে একমত অথবা কেন নয় সেটাও জানাবেন।

অনেক কথা বললাম এটা পড়ার পরে যদি কোন কিছু না বুঝেন না কোনকিছুতে আপনার সমস্যা মনে হয় তবে কমেন্টে জানাবেন।

এই রকম আরো নতুন নতুন লেখা পড়তে আমাদের সাইটে ভিজিট করতে পারেন ।

টেকনোলজি সম্পর্কে আরো পড়তে এখানে ক্লিক করুন করুন।

আজ এটুকুই থাক।

Leave a Comment