Nft কী? কীভাবে Nft তৈরী করে এবং কোথায় Nft বিক্রি করে।

Blockchain টেকনলেজির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেছে Nft । এই এনএফটি web 3.0 এর একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এনএফটি গুলো অনেক দামে বিক্রি হচ্ছে। যা Nft প্রতি আমাদের আগ্রহ অনেক বাড়িতে দিচ্ছে। আজকের পোস্টে আমি Nft কী?  কীভাবে Nft তৈরী করে এবং কোথায় Nft বিক্রি করে। এই কয়টা বিষয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করব। আগেই বলে রাখি এই পোস্টটি নতুনদের জন্য ।আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ হন।তাহলে এই আর্টিকেলটি স্কিপ করতে পারেন ।

Nft কী ?

Nft এর পূর্নরূপ হলো Non Fungible Token। এটি ব্লকচেইনের উপর নির্ভর করে তৈরি এক ধরনের টোকেন। যার সাথে কোন ডিজিটাল ফাইল (asset বা সম্পদ) লিংক করা থাকে। যার মাধ্যমে ওই ডিজিটাল ফাইল বা সম্পদকে নির্দিষ্ট করা যায়। এবং  ওটা যে আসল এবং কপি নয় তা নির্নয় করা যায়।

Non-Fungible মনে কী ?

Nft gallery

ওপরে তো Nft কে Non Fungible Token বললাম।কিন্তু Non Fungible মানে কি সেটা বলিনি। Non Fungible এর বাংলা হচ্ছে অবিনিময়যোগ্য। মানে যা বিনিময় করা যায় না। আরও স্পষ্ট করে বললে একটা এনএফটি দিয়ে অন্য কোন এনএফটি কে বিনিময় করা যায় না। কারন কোন Nft এর মূল্য সমান না ।এনএফটি এর মূল্য নির্ভর করে তার সাথে লিংক করা ডিজিটাল ফাইলের উপর। কিন্তু প্রতিটা বিটকয়েনের মূল্য সমান বা প্রতিটা ১০০ টাকার নোটের মূল্য সমান। আপনার ১০০ টাকার নোট আমি নিলে এবং আমার ১০০ টাকার নোট আপনি নিলে আমাদের কাছে ১০০ তাকাই থাকবে। তাই টাকা Fungible। আশাকরি বোঝাতে পেরেছি।

কিভাবে কাজ করে ?

Nft সম্পূর্নভাবে ব্লকচেইন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। তাই ব্লকচেইন সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়া না থাকলে, এখানে ক্লিক করে ব্লকচেইন সম্পর্কে আগে পড়ে নিন। ব্লকচেইন এর মধ্যে এনএফটি এর সকল তথ্য সংরক্ষণ করা থাকে। তাই এনএফটি এর মালিকের অনুমতি ব্যতীত Nft এর মালিকানা পরিবর্তন করা যায়। আর আমরা তো জানিই ব্লকচেইন হ্যাক করা কতটা সম্ভব। তাই এনএফটি এর মাধ্যমে ডিজিটাল asset এমনকি physical asset এরও মালিকানা সংরক্ষণ করা হয় । আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আমাদের বাড়ি, জমি সহ অন্যান্য জিনিস পত্রের মালিকানা নির্নয় করা যেতে পারে। 

কিভাবে Nft তৈরি করে এবং বিক্রি করে ?

Marketplace

এনএফটি এর নিজস্ব কোন ভ্যালু নেই। এনএফটি এর সাথে লিংক করা ফাইলের ভ্যালুই হলো এনএফটি টির ভ্যালু। তাই আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ হন । তাহলে আপনার ডিজিটাল কোন asset যেমন, গ্রাফিক্স, ভিডিও ইত্যাদি থাকে। তাহলে সেটার এনএফটি তৈরি করতে পারবেন ।Nft বিক্রি করার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যেমন Opensea, Binance ইত্যাদি। এগুলোকে ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ বলে। এসব সাইটে ক্রিপ্ট কারেন্সি , এনএফটি ইত্যাদি কেনা-বেচা হয়। এসব এক্সচেঞ্জে নিজের ওয়ালেট খুলে Nft তৈরি করা এবং বিক্রি করা যায়।

Nft এর দুর্বলতা ও খারাপ দিক !

এনএফটি সম্পর্কে অনেক কিছুই বললাম। কিন্তু এনএফটি এর আগে কিছু দুর্বলতা রয়েছে।

এনএফটি এর মাধ্যেমে যদিও কোন ডিজিটাল asset লিংক করা থাকে ।তারপরও সেটা কপিরাইট প্রতিরোধ করতে অক্ষম। কারণ অন্য সেটা শুধু মাত্র লিংক করা থাকে আর কিছুই না। তাই যদি ওই ডিজিটাল asset এর মালিক চায় তবে একই asset এর একাধিক এনএফটি বানিয়ে বিক্রি করতে পারে। যার মাধ্যমে স্ক্যাম করা সম্ভব এবং অনেক স্ক্যাম করাও হয়েছে। 

আরও পড়ুন, ব্লকচেইন কী? কীভাবে ব্লকচেইন কাজ করে?

দেখুন ২০২১ সালে এনএফটি এর বিশাল একটা হাইপ উঠেছিল। যার ফলে অনেক চড়া এনএফটি বিক্রি হয়েছিল।কিন্তু এখন আর সেই হাপই নেই, তাই এনএফটি এর দামও আগের মত নেই। কোরিয়ান একটা ছেলে তার ১০০০ টা সেলফি তুলে সেটার এনএফটি বানিয়ে অনেক দামে বিক্রি করেছে। আচ্ছা আপনিই বলুন ওই ছেলের সেলফির কী দাম আছে! শুধুমাত্র এনএফটি বানিয়েছে তাই এতো দামে বিক্রি।

আর একটা মজার তথ্য দিয়ে আজকের পোস্টটা শেষ করব। 

টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা Jack Dorcey। তার প্রথম টুইট ২.৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছে ২০২১ সালের মার্চ মাসে। এই টুইট বিক্রি করার জন্য বিডিং করা হয় ২০২২ সালে। যারা বিডিং এর আয়োজন করেছে। তারা এটার দাম আন্দাজ করেছিল ৪৮ মিলিয়ন ডলার হবে। কিন্তু বিডিং এ সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ২৮০ ডলার !!

 তথ্য সূত্র উইকিপিডিয়া।

Conclusion

২০২১ সালে Nft প্রচুর হাইপ উঠেছিল। কিন্তু ২০২২ সালে হাইপ নেই, দামও অনেক কমে গেছে। জরিপে দেখা গেছে Nft ব্যবহারকারী ওয়ালেট সংখ্যা প্রায় ৮৩ শতাংশ কমে গেছে। যাইহোক অনেক জায়গায় Nft এর ব্যবহার হচ্ছে। ভিডিও গেম থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে Nft যে দুনিয়াকে পাল্টে দিবে এটা শিওর। 

আজ এটুকুই। কোন সমস্যা হলে বা কোন কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment