ইসরাইল কারা? ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস

ইসরাইল কারা? ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস বুঝতে চান? ইসরাইল কারা তা জানতে চান?

ইসরাইল কারা

এই статьяটি ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস, ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে। ইসরাইল কি? ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস

ইসরাইল একটি রাষ্ট্র, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেম, যা ইহুদী, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের জন্য পবিত্র নগর।

ইসরাইলের জনসংখ্যার প্রায় 75% ইহুদি এবং বাকি 25% মুসলিম, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ।

ইহুদী জাতি একটি প্রাচীন জাতি, যাদের ইতিহাস ৪,০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। ইহুদীরা বিশ্বাস করে যে, তারা আব্রাহাম, ইসহাক এবং যাকোবের বংশধর। ইহুদীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তনখ, যা ইহুদীদের ইতিহাস, আইন এবং ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে বর্ণনা করে।

ইহুদীরা বহু শতাব্দী ধরে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।

How To Get Over Your Past Mistakes (Complete Guide)

কিন্তু তাদের মাতৃভূমি হলো কানান দেশ, যা বর্তমানে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের অঞ্চল।

ইহুদীরা ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পেছনে ইহুদীদের দীর্ঘদিনের স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

কিন্তু ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার ফলে, ফিলিস্তিনীরা তাদের ভূমি হারায় এবং বাস্তুচ্যুত হয়। ফলে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হয়।

ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস

ইহুদী জাতি ও ইহুদী ধর্মের ইতিহাস খুবই প্রাচীন এবং জটিল

এই ইতিহাসে সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা, স্বাধীনতা-দখল, সহিষ্ণুতা-অসহিষ্ণুতার মিশ্রণ রয়েছে।

ইহুদীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তনখ অনুসারে, ইহুদী জাতির ইতিহাস শুরু হয় আব্রাহামের জন্মের মাধ্যমে। আব্রাহাম একজন মেষপালক ছিলেন, যিনি উর নগরী থেকে কানান দেশে আসেন।

আব্রাহাম বিশ্বাস করতেন যে, এক ঈশ্বর রয়েছেন এবং তিনিই একমাত্র উপাস্য। আব্রাহামের বংশধর ইসহাক ও যাকোবের মাধ্যমে ইহুদী জাতির উদ্ভব হয়।

ইহুদি জাতির ইতিহাস

ইহুদি জাতির ইতিহাসকে মোটামুটিভাবে তিনটি যুগে ভাগ করা যেতে পারে:

  • প্রাচীন যুগ (১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৭০ খ্রিস্টাব্দ): এই যুগে, ইহুদিরা কানান দেশে বসবাস করত। তারা একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন শক্তির অধীনে শাসনাধীন হয়েছিল।
  • মধ্যযুগ (৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ): এই যুগে, ইহুদিরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা বহু শতাব্দী ধরে নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
  • আধুনিক যুগ (১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান): এই যুগে, ইহুদিরা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ইসরাইল একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, কিন্তু এটি এখনও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বারা আক্রান্ত।

 

প্রাচীন যুগ

ইহুদি জাতির ইতিহাসের প্রাচীন যুগ শুরু হয় আব্রাহামের জন্মের মাধ্যমে।

আব্রাহাম একজন মেষপালক ছিলেন, যিনি উর নগরী থেকে কানান দেশে আসেন।

আব্রাহাম বিশ্বাস করতেন যে, এক ঈশ্বর রয়েছেন এবং তিনিই একমাত্র উপাস্য। আব্রাহামের বংশধর ইসহাক ও যাকোবের মাধ্যমে ইহুদী জাতির উদ্ভব হয়।

ইসরাইল কারা

ইহুদিরা কানান দেশে বসবাস শুরু করে এবং একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।

এই রাজ্যের রাজধানী ছিল জেরুজালেম।

কিন্তু পরবর্তীতে, ইহুদিরা বিভিন্ন শক্তির অধীনে শাসনাধীন হয়েছিল।

মধ্যযুগ

ইহুদিরা মধ্যযুগে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তারা বহু শতাব্দী ধরে নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।

ইহুদিরা ইউরোপে বসবাস করতে শুরু করে এবং সেখানে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি গড়ে তোলে।

Why Men Should NOT Show Emotion (Actual Reasons)

কিন্তু ১১ শতকে, ইউরোপের খ্রিস্টানরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন শুরু করে।

ইহুদিদের তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

আধুনিক যুগ

১৯ শতকে, ইহুদিরা তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করে।

১৯৪৮ সালে, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে, ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ফলে, ফিলিস্তিনীরা তাদের ভূমি হারায় এবং বাস্তুচ্যুত হয়। ফলে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হয়।

ইহুদি ধর্ম

ইহুদি ধর্ম একটি ইব্রাহিমীয় ধর্ম, যা ইহুদিদের দ্বারা অনুসরণ করা হয়। ইহুদি ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো এক ঈশ্বর, যিনি নিরাকার এবং চিরন্তন। ইহুদি ধর্ম একটি নৈতিক ধর্ম,

যা ভালো কাজ করা এবং অন্যদের প্রতি দয়া করাকে উৎসাহিত করে।

ইহুদি ধর্মের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ হল তনখ, যা হিব্রু ভাষায় লেখা হয়েছে। তনখকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে:

  • তোরাহ: দশ আদেশ এবং ঈশ্বরের সাথে ইহুদিদের চুক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করে।
  • নবীদের বই: ইহুদি ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ঈশ্বরের দ্বারা প্রেরিত নবীগণের কথা বর্ণনা করে।
  • পবিত্র গ্রন্থ: ইহুদি ধর্মের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বর্ণনা করে।

ইহুদিরা তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি এবং আইন মেনে চলে। এই রীতিনীতি এবং আইনগুলিকে বলা হয় হলাখা।

হলাখা ইহুদি ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি ইহুদি সমাজের নিয়মকানুন নির্ধারণ করে।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত একটি দীর্ঘদিনের সংঘর্ষ, যা ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনীদের মধ্যে

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • জেরুসালেম: জেরুসালেম হল একটি পবিত্র শহর, যা ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইল জেরুসালেমকে তার রাজধানী হিসাবে দাবি করে, তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করে যে পূর্ব জেরুজালেম তাদের ভবিষ্যতের রাজ্যের রাজধানী হবে।
  • শরণার্থী: ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এই শরণার্থীদের অনেকেই এখনও তাদের ঘর-বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি, এবং তাদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।
  • অধিকার: ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি প্রধান বিরোধ হল তাদের অধিকারের প্রশ্ন। ইসরায়েল দাবি করে যে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, এবং তার নাগরিকদের অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে যে তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার রাখে, এবং তাদের নাগরিকদেরও অধিকার রয়েছে।
  • সহিংসতা: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে সহিংসতা একটি প্রধান বিষয়। ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যার ফলে প্রায়শই বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়।

তাই এই দ্বন্দ চিরন্তন, কোন সমাধান নাই।

 

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান:

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা একটি কঠিন কাজ ইসরাইল কারা।

দুটি পক্ষের মধ্যে অনেকগুলি বিরোধ রয়েছে, এবং উভয় পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়।

একটি সম্ভাব্য সমাধান হল একটি দুই-জাতি রাষ্ট্র, যেখানে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন পাশাপাশি বিদ্যমান।

এই সমাধানে, জেরুসালেম একটি যৌথ রাজধানী হিসাবে কাজ করবে, এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের একটি ন্যায্য সমাধান হবে।

আরেকটি সম্ভাব্য সমাধান হল একটি একক রাষ্ট্র, যেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা একসাথে বসবাস করবে। এই সমাধানে, সমস্ত নাগরিকদের সমান অধিকার থাকবে।

এই দুটি সমাধানের মধ্যে কোনটিই সহজ নয়, এবং উভয় পক্ষের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আত্মত্যাগের প্রয়োজন হবে। তবে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি, যাতে অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরও কিছু তথ্য:

  • ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে বিশ্বের অন্যতম জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
  • সংঘাতটি প্রায়শই সহিংসতায় পরিণত হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং বাস্তুচ্যুত হয়।
  • সংঘাতটি অঞ্চলের অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোকে প্রভাবিত করেছে।
  • ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা একটি কঠিন কাজ, তবে এটি জরুরি, যাতে অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।

অবশ্যই, এখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরও কিছু তথ্য রয়েছে:

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি প্রধান কারণ হল জেরুসালেম শহর।

এই শহরটি ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের কাছে পবিত্র, এবং উভয় পক্ষই এটিকে তাদের রাজধানী হিসাবে দাবি করে।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরেকটি প্রধান কারণ হল শরণার্থী সমস্যা।

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

এই শরণার্থীদের অনেকেই এখনও তাদের ঘর-বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি, এবং তাদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ফিলিস্তিনি শরণার্থী ইসরাইল কারা

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান খুঁজে বের করা একটি কঠিন কাজ।

উভয় পক্ষের মধ্যে অনেকগুলি বিরোধ রয়েছে, এবং উভয় পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সম্ভাব্য সমাধান:

একটি সম্ভাব্য সমাধান হল একটি দুই-জাতি রাষ্ট্র, যেখানে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন পাশাপাশি বিদ্যমান।

 

এই সমাধানে, জেরুসালেম একটি যৌথ রাজধানী হিসাবে কাজ করবে, এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের একটি ন্যায্য সমাধান হবে।

 

আরেকটি সম্ভাব্য সমাধান হল একটি একক রাষ্ট্র, যেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা একসাথে বসবাস করবে।

 

এই সমাধানে, সমস্ত নাগরিকদের সমান অধিকার থাকবে।

 

এই দুটি সমাধানের মধ্যে কোনটিই সহজ নয়, এবং উভয় পক্ষের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আত্মত্যাগের প্রয়োজন হবে।

তবে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি, যাতে অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।

জেরুজালেমের ইতিহাস

জেরুজালেমের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং জটিল।

এটি একটি শহর যা ইহুদী, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের সাথে গভীরভাবে জড়িত।

জেরুসালেমকে বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র শহরগুলির একটি বলে মনে করা হয়।

Top 15 Small Business Insurance Companies in October (Latest 2023)

জেরুসালেমের ইতিহাস প্রায় ৫,০০০ বছরের পুরনো।

বাইবেল অনুসারে, রাজা ডেভিড জেরুসালেমকে ইসরায়েল রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

তার পুত্র রাজা সলোমন টেম্পল মাউন্টে প্রথম ইহুদী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

৫৮৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ব্যবিলনীয়রা জেরুসালেম অধিকৃত করে এবং মন্দিরটি ধ্বংস করে দেয়।

৫৩৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে পারস্যরা জেরুসালেমকে মুক্ত করে।

এরপর শহরটি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, আরব খিলাফত, ক্রুসেডার রাজ্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর ইসরাইল কারা, জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে দাবি করে।

তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করে যে শহরটি তাদের রাজধানী হওয়া উচিত।

ইসরাইল কারা

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমকে দখল করে নেয়।

এরপর থেকে ইসরায়েল জেরুসালেমকে তার সম্পূর্ণ রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে।

তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করে যে পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হওয়া উচিত।

জেরুজালেম একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল শহর।

এটি একটি শহর যা ধর্ম, জাতি এবং রাজনীতির দ্বারা বিভক্ত। জেরুসালেমের ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত, তবে এটি একটি শহর যা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে থাকবে।

জেরুজালেমের ইতিহাসের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:

  • খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সালে রাজা ডেভিড জেরুসালেমকে ইসরায়েল রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
  • খ্রিস্টপূর্ব ৯৬৬ সালে রাজা সলোমন টেম্পল মাউন্টে প্রথম ইহুদী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
  • খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৬ সালে ব্যবিলনীয়রা জেরুসালেম অধিকৃত করে এবং মন্দিরটি ধ্বংস করে দেয়।
  • খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৮ সালে পারস্যরা জেরুসালেমকে মুক্ত করে।
  • ৬৩৮ সালে খলিফা উমর জেরুসালেম জয় করেন।
  • ১০৯৯ সালে প্রথম ক্রুসেডাররা জেরুসালেম জয় করেন।
  • ১১৮৭ সালে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জেরুসালেম জয় করেন
  • ১২২৯ সালে তৃতীয় ফ্রেডেরিক জেরুসালেম জয় করেন।
  • ১২৪৪ সালে আইয়ুবীয়রা জেরুসালেম পুনরায় দখল করে নেয়।
  • ১৫১৭ সালে অটোমান সাম্রাজ্য জেরুসালেম দখল করে নেয়।
  • ১৯১৭ সালে ব্রিটিশরা জেরুসালেম দখল করে নেয়।
  • ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়।
  • ১৯৮০ সালে ইসরায়েল জেরুসালেমকে তার সম্পূর্ণ রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে।

জেরুজালেম একটি শহর যা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে থাকবে।

এটি একটি শহর যা ধর্ম, জাতি এবং রাজনীতির দ্বারা বিভক্ত, তবে এটি একটি শহর যা শান্তি এবং সহাবস্থানের সম্ভাবনাও ধারণ করে।

জেরুজালেমের ইতিহাসের বিবরণ এখানে রয়েছে:

  • ইহুদি ধর্মের জন্য জেরুজালেমের গুরুত্ব: জেরুজালেম ইহুদি ধর্মের জন্য সবচেয়ে পবিত্র শহর। এটিকে “বিশ্বের কেন্দ্রস্থল” বলা হয় এবং এটিকে ইহুদিদের আধ্যাত্মিক স্বদেশ হিসেবে দেখা হয়। টেম্পল মাউন্টে প্রথম এবং দ্বিতীয় ইহুদি মন্দির ছিল, এবং এটিকে ইহুদিদের শেষ বিচারের জায়গা হিসাবে বিশ্বাস করা হয়।
  • ইসলামের জন্য জেরুজালেমের গুরুত্ব: জেরুজালেম ইসলামের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটিকে মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র শহর হিসাবে দেখা হয়, মক্কা এবং মদিনার পরে। মসজিদ আল-আকসা, যা মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবী মুহাম্মদ তার মেরাজের সময় সেখানে এসেছিলেন, জেরুজালেমে অবস্থিত।
  • খ্রিস্টান ধর্মের জন্য জেরুজালেমের গুরুত্ব: জেরুজালেম খ্রিস্টান ধর্মের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটিকে খ্রিস্টানদের পবিত্রতম শহর হিসাবে দেখা হয়, কারণ এটি যীশু খ্রিস্টের জীবন, মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের সাথে জড়িত। জেরুজালেমে খ্রিস্টানদের জন্য অনেক পবিত্র স্থান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গোলগাথা, যেখানে যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল, এবং খ্রিস্টের সমাধি।

Why American rates Paris tourist attractions (brutally honest)

জেরুজালেমের ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত ইসরাইল কারা।

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিরা উভয়ই শহরটিকে তাদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে।

একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা একটি কঠিন কাজ হবে, কারণ এটি ধর্ম, জাতি এবং রাজনীতির দ্বারা বিভক্ত একটি শহরের সাথে জড়িত।

জেরুজালেমের ইতিহাসের আরও কিছু বিবরণ :

  • জেরুজালেমের প্রারম্ভিক ইতিহাস: জেরুজালেমের ইতিহাস প্রায় ৫,০০০ বছরের পুরনো। শহরটি প্রথমে জেরুসালেম নামে পরিচিত ছিল, যা “শান্তির শহর” হিসাবে অনুবাদ করা হয়। বাইবেল অনুসারে, রাজা ডেভিড জেরুসালেম শাসন করেন এবং এটিকে ইসরায়েল রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার পুত্র রাজা সলোমন টেম্পল মাউন্টে প্রথম ইহুদি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
  • জেরুজালেমের ধ্বংস: জেরুজালেম দুবার ধ্বংস হয়েছে। প্রথমবার ৫৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যবিলনীয়রা দ্বিতীয় ইহুদি মন্দির ধ্বংস করে। দ্বিতীয়বার ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা প্রথম এবং দ্বিতীয় ইহুদি মন্দির উভয়ই ধ্বংস করে।
  • জেরুজালেমের মধ্যযুগীয় ইতিহাস: জেরুজালেম মধ্যযুগে বিভিন্ন শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল। ১০৯৯ সালে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম দখল করে এবং এটিকে তাদের রাজ্যের রাজধানী করে তোলে। ১১৮৭ সালে সালাহউদ্দিন জেরুজালেম দখল করে এবং এটিকে আরবদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ১২২৯ সালে ফ্রান্সের রাজা লুই IX জেরুজালেম দখল করে, কিন্তু ১২৪৪ সালে মামলুকরা এটি দখল করে।
  • জেরুজালেমের আধুনিক ইতিহাস: ১৯১৭ সালে ব্রিটিশরা জেরুজালেম দখল করে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল স্বাধীনতা লাভের পর, জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল পুরো শহরটি দখল করে। ১৯৬৭ সালের পর থেকে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক করে আসছে।

জেরুজালেম একটি জটিল এবং সংবেদনশীল শহর।

এটি তিনটি প্রধান ধর্মের জন্য একটি পবিত্র স্থান, এবং এটি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত

জেরুজালেমের ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত, কিন্তু এটি একটি শহর যা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment