ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস মিজানুর রহমান আজহারী | ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস সম্পর্কে মিজানুর রহমান আজহারী কি বলেছেন তা জানতে চান?
এই প্রবন্ধে আপনি ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস মিজানুর রহমান আজহারী
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস সম্পর্কে মিজানুর রহমান আজহারী কি বলেছেন তা জানতে চান? এই প্রবন্ধে আপনি ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
# ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে। হাদিসটি হলো:
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না (অর্থাৎ, তার দিকে তাকাবেন না)।’”
(সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: 296)
# মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যাখ্যা
মিজানুর রহমান আজহারী এই হাদিসটি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য ও নোংরা অভ্যাস। এটি ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই হাদিসে বলেছেন যে, যে ব্যক্তি ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তাকে পছন্দ করবেন না।
# ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা শুধুমাত্র ইসলামে নিষিদ্ধই নয়, এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। ঢিলা কুলুখের মধ্যে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। এই জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশ করলে διάর্রহা, বমি, জ্বর, পেটের ব্যথা, অ্যামোইবা, টাইফয়েড, কলেরা ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
# ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার উপায়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের সব সময় নখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
কুলুখ করার সময় পায়খানা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
# উপসংহার
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য ও নোংরা অভ্যাস।
এটি ইসলামে নিষিদ্ধ
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের আরও কিছু ক্ষতিকর দিক
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের শুধুমাত্র ইসলামে নিষিদ্ধতা ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিকই নয়, এর আরও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- সমাজে অসভ্যতা বৃদ্ধি পায়: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য অভ্যাস। এটি সমাজে অসভ্যতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
- মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের কারণে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমাতে পারে।
- সমাজে অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়তে পারে: ঢিলা কুলুখের মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে সমাজে অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
# ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার উপায়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- নখ সবসময় পরিষ্কার রাখা: নখ সবসময় পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা যায়।
- কুলুখ করার সময় পায়খানা ভালোভাবে পরিষ্কার করা: কুলুখ করার সময় পায়খানা ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের সম্ভাবনা কমে যায়।
- কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া: কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুলে ঢিলা কুলুখের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানো থেকে বিরত থাকা যায়।
# ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তা
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য ও নোংরা অভ্যাস। এটি ইসলামে নিষিদ্ধ। ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের কারণে শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তাই সবার উচিত ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
# FAQs
প্রশ্ন ১: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিসটি কোথায় বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের হাদিসটি সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: 296 এ বর্ণিত হয়েছে।
প্রশ্ন ২: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা কেন অসভ্য অভ্যাস?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য অভ্যাস কারণ এটি দ্বারা পায়খানার ময়লা হাতের নখের ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। এই ময়লা পরে হাতের মাধ্যমে অন্য জিনিসের উপর ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি অসভ্যতা ও অপবিত্রতার লক্ষণ।
প্রশ্ন ৩: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা কেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ এর মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই জীবাণুগুলোর কারণে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, পেটের ব্যথা, অ্যামোইবা, টাইফয়েড, কলেরা ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন ৪: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার উপায় কী?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- নখ সবসময় পরিষ্কার রাখা।
- কুলুখ করার সময় পায়খানা ভালোভাবে পরিষ্কার করা।
- কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া।
প্রশ্ন ৫: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ এটি একটি অসভ্য ও নোংরা অভ্যাস। এটি ইসলামে নিষিদ্ধ। ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের কারণে শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
প্রশ্ন ৬: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করলে কী হয়?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো হতে পারে:
- অসভ্যতা ও অপবিত্রতার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।
- স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- সমাজে অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
প্রশ্ন ৭: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে কী কী রোগ হতে পারে?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে নিম্নলিখিত রোগগুলো হতে পারে:
- ডাইরিয়া
- বমি
- জ্বর
- পেটের ব্যথা
- অ্যামোইবা
- টাইফয়েড
- কলেরা
প্রশ্ন ৮: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হলে কী কী করা উচিত?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:
- নখ সবসময় পরিষ্কার রাখা।
- কুলুখ করার সময় পায়খানা ভালোভাবে পরিষ্কার করা।
- কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া।
প্রশ্ন ৯: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের পরিবর্তে কী করা যায়?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের পরিবর্তে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো করা যেতে পারে:
- নখ ছোট রাখা।
- কুলুখ করার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
- কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
প্রশ্ন ১০: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
উত্তর: ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য নিম্নলিখিত উদ্যোগগুলো নেওয়া যেতে পারে:
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেওয়া।
- প্রচারণা চালানো।
অন্যান্য
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য ও নোংরা অভ্যাস। এটি ইসলামে নিষিদ্ধ। ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের কারণে শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তাই সবার উচিত ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- **ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
এই জীবাণুগুলোর কারণে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে যেসব রোগ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
- ডায়রিয়া
- বমি
- জ্বর
- পেটের ব্যথা
- অ্যামোইবা
- টাইফয়েড
- কলেরা
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ ছড়ানো
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই জীবাণুগুলো হাতের মাধ্যমে অন্য জিনিসের উপর ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে অন্যদেরও রোগ হতে পারে।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের পরিবর্তে কী করা যায়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের পরিবর্তে
নিম্নলিখিত বিষয়গুলো করা যেতে পারে:
- নখ ছোট রাখা।
- কুলুখ করার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
- কুলুখ করার পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য করণীয়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।
আমরা সবাই যদি সচেতন হয়ে ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকি, তাহলে এই অসভ্য ও ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে আমাদের সমাজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
একটি উপমা
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করাকে একটি অসভ্য ও অপবিত্র অভ্যাস হিসেবে দেখা হয়। এটিকে আমরা একটি নোংরা কাপড়ের সাথে তুলনা করতে পারি। একটি নোংরা কাপড়ে নানা ধরনের জীবাণু থাকে।
এই জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশ করলে নানা রোগ হতে পারে। ঠিক একইভাবে, ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
আরও কিছু তথ্য
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই জীবাণুগুলো হাতের মাধ্যমে অন্য জিনিসের উপর ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে অন্যদেরও রোগ হতে পারে।
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উপায়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
এক্ষেত্রে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের করণীয়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য
সরকারের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করণীয়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের করণীয়
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
উপসংহার
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা একটি অসভ্য ও ক্ষতিকর অভ্যাস। এটি থেকে বিরত থাকার জন্য সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার না করলে কি নামাজ হবে না
নামাজ হবে। ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নত, কিন্তু ফরজ নয়। ফরজ হলো নামাজের নিয়মগুলো ঠিকমতো পালন করা। ঢিলা কুলুখ ব্যবহার না করলে নামাজের নিয়মগুলো ঠিক থাকলে নামাজ হবে।
তবে ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করলে নামাজে মনোযোগ বেশি থাকে এবং নামাজের আদব রক্ষা করা সহজ হয়। তাই ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা ভালো।
ঢিলা কুলুখ হলো এমন একটি মোজা যা পায়ের আঙ্গুলের মাথা বের থাকে। এটি সাধারণত সাদা রঙের হয়। ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করলে পায়ের গোড়ালি ঢাকা থাকে, কিন্তু আঙ্গুলের মাথা বের থাকে।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহার না করলে নামাজ হবে না এমন কোন দলিল নেই। বরং অনেক হাদিসে ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। যেমন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করো, কারণ তা পবিত্রতা এবং পবিত্রতার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করে।” (তিরমিজি, হাদিস নং: 979)
অতএব, ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নত, কিন্তু ফরজ নয়। ঢিলা কুলুখ ব্যবহার না করলেও নামাজ হবে।
ঢিলা কুলুপ ব্যবহারের নিয়ম
ঢিলা কুলুপ হল একটি পদ্ধতি যা দ্বারা পায়খানার পরে নাপাকী দূর করা হয়।
এটি একটি পানির পাত্র দিয়ে করা হয়। ঢিলা কুলুপ ব্যবহারের নিয়ম নিম্নরূপ:
১. প্রথমে একটি পানির পাত্র নিন। পাত্রটি এমন আকারের হওয়া উচিত যাতে আপনি আপনার হাত ঢুকিয়ে পায়খানার গর্ত পরিষ্কার করতে পারেন। ২. পাত্রটিতে পরিষ্কার পানি নিন। ৩. আপনার হাত পায়খানার গর্তের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। ৪. পানির পাত্রের পানি দিয়ে আপনার হাতের তালুতে পানি ঢালুন। ৫. আপনার হাত দিয়ে পায়খানার গর্তের চারপাশ পরিষ্কার করুন। ৬. পানির পাত্রের পানি দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন।
ঢিলা কুলুপ ব্যবহারের কিছু টিপস:
- পানির পাত্রটি এমনভাবে ধরুন যাতে আপনি পায়খানার গর্তের মধ্যে আপনার হাত ঢুকিয়ে দিতে পারেন।
- পানির পাত্র থেকে খুব বেশি পানি ঢালবেন না।
- আপনার হাত দিয়ে পায়খানার গর্তের চারপাশ আলতো করে ঘষুন।
- পানির পাত্রের পানি দিয়ে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ঢিলা কুলুপ
ব্যবহারের সুবিধা:
- এটি একটি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।
- এটি দিয়ে পায়খানার গর্তের চারপাশের সব নাপাকী দূর করা যায়।
- এটি ব্যবহার করা সহজ।
ঢিলা কুলুপ
ব্যবহারের অসুবিধা:
- এটিতে কিছুটা সময় লাগে।
- এটি ব্যবহার করার জন্য একটি পানির পাত্র দরকার।
ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করা সুন্নত।
তাই, পায়খানার পরে নাপাকী দূর করার জন্য ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করা উচিত।
ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের ফজিলত
ঢিলা কুলুখ হল একটি ইসলামী আমল যা শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
এটি একটি ছোট্ট আমল যা খুব সহজেই করা যায়। ঢিলা কুলুখ করার জন্য, নিচের দোয়াটি তিনবার পড়তে হয়:
أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق
বাংলা অনুবাদ:
আউজুবিকালিমাতিল্লাহিত তামাতিম মিন শাররি মা খালাক
অর্থ:
আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্ট সকল মন্দ থেকে।
ঢিলা কুলুখের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর তিনবার এ দোয়াটি পাঠ করবে, তার কোন ক্ষতি করতে শয়তান সক্ষম হবে না, যতক্ষণ না সে দুপুরের নামাজের পর ঘুমিয়ে না পড়ে।” (তিরমিযি)
এছাড়াও, হযরত আবু দাউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর এ দোয়াটি তিনবার পাঠ করবে, তাকে সকাল পর্যন্ত কোন ক্ষতি করতে শয়তান সক্ষম হবে না।”
ঢিলা কুলুখের ফজিলত নিম্নরূপ:
- শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
- সকল প্রকার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- দুষ্ট লোকের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে।
- জাদু-টোনা থেকে রক্ষা করে।
- নেফাক থেকে রক্ষা করে।
- আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি অর্জন করে।
ঢিলা কুলুখ একটি খুবই সহজ ও কার্যকর আমল। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, এই আমলটি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর করা।