প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ – ২০২৪ এর শুন্য থেকে প্রস্তুতি। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কিভাবে শুন্য থেকে প্রস্তুতি নেবেন জানুন এই নিবন্ধে।
এই নিবন্ধে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ – ২০২৪ এর শুন্য থেকে প্রস্তুতি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলো বাংলাদেশে অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। প্রতি বছর লাখ লাখ প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতো প্রতিযোগিতার মধ্যে সফল হতে হলে, পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
আমরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য শুন্য থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার পদ্ধতি আলোচনা করব।
সূচিপত্র
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কি?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যোগ্যতা কি?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন পদ্ধতি কি?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস কি?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বই পড়ার তালিকা
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র সমাধানের পদ্ধতি
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভাইভা সাক্ষাৎকারে কি কি প্রশ্ন করা হতে পারে?
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কি?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলো বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য গ্রহণ করা একটি পরীক্ষা।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যোগ্যতা কি?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা আবশ্যক:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রী অধারী হতে হবে।
- বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ 35 বছর হতে হবে।
- সুস্থ ও সবল হতে হবে।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন পদ্ধতি কি?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন সাধারণত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আবেদন করার জন্য, প্রার্থীদের প্রথমে ওয়েবসাইটে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এরপর, নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস কি?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস নিম্নরূপ:
- বাংলা: ভাষা ও সাহিত্য, ব্যাকরণ, গদ্য ও পদ্য, সাধারণ জ্ঞান
- ইংরেজি: গ্রামার, রিডিং, রাইটিং, স্পোকেন ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞান
- গণিত: বীজগণিত, জ্যামিতি, পরিসংখ্যান, সাধারণ জ্ঞান
- সাধারণ জ্ঞান ও বিজ্ঞান: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বিজ্ঞান, সাধারণ গণিত, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা, সাধারণ জ্ঞান
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরণ করুন:
- সিলেবাস ভালোভাবে বুঝুন। পরীক্ষার সিলেবাস ভালোভাবে বুঝলে, আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তা সহজেই বুঝতে পারবেন।
- নিয়মিত পড়াশোনা করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করলে, আপনি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।
- বিগত সালের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। বিগত সালের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে, আপনি পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন এবং পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।
- প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ নিন। প্রশিক্ষণ নিলে, আপনি পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বই পড়ার তালিকা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নিম্নলিখিত বইগুলো পড়তে পারেন:
- বাংলা:
- বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, এম. আখতারুজ্জামান
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, আহমদ শরীফ
- সৃজনশীল বাংলা, অশোক কুমার সরকার
- ইংরেজি:
- English Grammar for Competitive Examination, B.M. Sharma
- English for Competitive Examination, M.K.C. Roy
- English for Competitive Examination, S.K. Roy
- গণিত:
- Mathematics for Competitive Examination, M.A. Salam
- General Mathematics, M.A. Salam
- Basic Mathematics, M.A. Salam
- সাধারণ জ্ঞান ও বিজ্ঞান:
- General Knowledge and Science for Competitive Examination, M.A. Salam
- Bangladesh and International Affairs, M.A. Salam
- Science for Competitive Examination, M.A. Salam
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র সমাধানের পদ্ধতি
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
- প্রথমে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ুন। প্রশ্নগুলো ভালোভাবে না পড়লে, সঠিক উত্তর দেওয়া কঠিন হবে।
- নিজের ধারণা অনুযায়ী উত্তর দিন। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর না জানেন, তাহলে নিজের ধারণা অনুযায়ী উত্তর দিন।
- পরীক্ষার সময় সীমিত রাখুন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে। তাই, সময় সীমিত রাখুন এবং যতটা সম্ভব বেশি প্রশ্নের উত্তর দিন।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভাইভা সাক্ষাৎকারে কি কি প্রশ্ন করা হতে পারে?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
ভাইভা সাক্ষাৎকারে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলো করা হতে পারে:
- আপনার সম্পর্কে বলুন।
- আপনার পড়াশোনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলুন।
- শিক্ষকতা পেশা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?
- আপনার পছন্দের বিষয় কি?
- আপনার শখ কি?
- আপনার দুর্বলতা কি?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ধাপসমূহ
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষা।
প্রথম ধাপ: প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, গণিত ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন আসে।
পরীক্ষার সময়কাল ৯০ মিনিট এবং প্রশ্নের সংখ্যা ১০০টি। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
দ্বিতীয় ধাপ: মৌখিক পরীক্ষা
মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞান ও শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতা যাচাই করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যোগ্যতা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে:
- বাংলাদেশের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণীর বা সমমানের জিপিএ স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী।
- চারটি স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ২.৮ সি জি পি এ থাকতে হবে।
- প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- প্রার্থীদের শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম হতে হবে।
- প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষা কেন্দ্র
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের আবেদনের সময় পছন্দক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন করতে হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত পরীক্ষার ৩-৪ মাস পর প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
প্রস্তুতির জন্য প্রার্থীরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে পারেন:
- বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ভালোভাবে অধ্যয়ন করা।
- বিভিন্ন গাইড বই ও মডেল টেস্টের সাহায্য নেওয়া।
- শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করা।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কিছু টিপস
- পরীক্ষার আগে ভালোভাবে ঘুমাতে হবে।
- পরীক্ষার হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে।
- পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া এবং বুঝে উত্তর দিতে হবে।
- পরীক্ষার সময় নকল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পরীক্ষার পরে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষা।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন যোগ্য শিক্ষক হিসেবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ:
-
যোগ্যতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন তা নিম্নরূপ:
- বাংলাদেশের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণীর বা সমমানের জিপিএ স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
- চারটি স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ২.৮ সি জি পি এ থাকতে হবে।
- বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর।
- শারীরিকভাবে সক্ষম।
-
পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা।
-
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয় থেকে মোট ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
-
লিখিত পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, প্রাথমিক শিক্ষা ও শিখন-শেখানো কৌশল বিষয় থেকে মোট ১৫০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ২। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু পরামর্শ:
- পরীক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝুন এবং নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
- বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন।
- সঠিকভাবে সময় বন্টন করুন।
- নিয়মিত অনুশীলন করুন এবং আত্মবিশ্বাসী থাকুন।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু টিপস:
- পরীক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝতে হলে নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
- পরীক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝতে হলে ভালো মানের বই এবং গাইড বই পড়ুন।
- বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন।
- পরীক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট ধারণা তৈরি করুন।
- পরীক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট ধারণা তৈরি করতে হলে বিভিন্ন সূত্র এবং কৌশল ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত অনুশীলন করুন।
- নিয়মিত অনুশীলন করলে পরীক্ষার সময় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হবে।
- আত্মবিশ্বাসী থাকুন।
- আত্মবিশ্বাসী থাকলে পরীক্ষায় ভালো ফল করা সম্ভব হবে।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে শুভকামনা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কোন জেলায় কত জন ২০২৪
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সারা দেশে মোট ৭৫০০ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮০০, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০০, সিলেট বিভাগে ১২০০, রাজশাহী বিভাগে ১২০০, খুলনা বিভাগে ১২০০, বরিশাল বিভাগে ৯০০ এবং রংপুর বিভাগে ৯০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রত্যেক জেলায় কতজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল:
জেলা | শূন্যপদ |
---|---|
ঢাকা | ১৮০০ |
চট্টগ্রাম | ১৫০০ |
সিলেট | ১২০০ |
রাজশাহী | ১২০০ |
খুলনা | ১২০০ |
বরিশাল | ৯০০ |
রংপুর | ৯০০ |
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
উপজেলা ভিত্তিক শূন্যপদ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা উপজেলা ভিত্তিক হয়ে থাকে।
প্রতিটি উপজেলায় শূন্যপদ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
উপজেলা ভিত্তিক শূন্যপদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সিলেবাস
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NCTRCA) দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই সিলেবাসটি প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুয়মেন্ট এক্সাম) এবং মৌখিক পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৪০০ নম্বরের একটি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস নিম্নরূপ:
বাংলা
- বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যাকরণ
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ইত্যাদির বিষয়বস্তু
- বাংলা ভাষার ব্যবহারিক দিক
ইংরেজি
- ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণ ও ব্যবহার
- ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস ও কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ইত্যাদির বিষয়বস্তু
- ইংরেজি ভাষার ব্যবহারিক দিক
গণিত
- প্রাথমিক গণিতের ধারণা ও প্রয়োগ
- সংখ্যা ও পরিমাপ
- বীজগণিত
- জ্যামিতি
সাধারণ বিজ্ঞান
- পদার্থবিদ্যা
- রসায়ন
- জীববিদ্যা
সাধারণ জ্ঞান
- বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- বাংলাদেশের ভূগোল ও পরিবেশ
- বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- বর্তমান বিশ্বের ঘটনাবলী
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের এই বিষয়গুলির উপর ভালো জ্ঞান থাকা উচিত।
প্রার্থীরা এই বিষয়গুলির উপর গবেষণা করে এবং প্রচুর অনুশীলন করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কিছু টিপস:
- প্রার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাসটি ভালোভাবে বুঝতে হবে।
- প্রার্থীদের অবশ্যই নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে এবং প্রচুর অনুশীলন করতে হবে।
- প্রার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার ধরন ও প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
- প্রার্থীদের অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। প্রার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য ভালো প্রস্তুতির প্রয়োজন।