রূপান্তরকারী নারী সমন্ধে ইসলাম কি বলে ?

রূপান্তরকারী নারী সমন্ধে ইসলাম কি বলে ? সম্প্রতি একটি টেলিভিশন এ দেখলাম এক রূপান্তরকারী নারীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। আগে যার ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল এখন সে মেয়ে হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। সাক্ষাৎকারটি ইতিবাচক ধরণের।

 

এ ধরণের ধারণা আমাদের সমাজে কি ধরণের প্রভাব ফেলবে এবং এগুলো প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কী? ?

 

এর আগে আমরা এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের সমাজে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান তাদের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত বিষয়কে আমদানি করার জন্য এক শ্রেনির মিডিয়া কাজ করছে।

 

এবং পৃথিবীর বিভিন্ন তথাকথিত উন্নত দেশ।

 

অমুসলিম প্রধান দেশগুলো আমাদের মতো পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে নানা রকমের কুফরী।

 

নানা রকমের ইসলাম বিরোধী, নানা রকমের ভ্রান্ত বিষয়গুলোকে আমাদের জন্য সম্পাদন করাকে তারা রীতিমতো তাদের বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।

 

এবং সেজন্য সেসমস্ত লোভে পড়ে আমাদের সমাজের লাভ হবে নাকি ক্ষতি হবে- সেটি বিবেচনা না করে অনেক মিডিয়া এবং অনেক মানুষ আমাদের দেশে সেগুলোকে আমদানি করেন; তারা সেসমস্ত প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন, তাদের কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করেন।

 

রূপান্তরকারী নারী সমন্ধে ইসলাম কি বলে ?

আমরা এই ট্রান্সজেন্ডার বা নারী থেকে পুরুষ এবং পুরুষ থেকে নারী হওয়ার যে প্রবণতা এবং এই যে নতুন একটি ফিতনা আমরা দেখছে পারছি- এ সম্পর্কে আমরা জানি যে কোনো অপারেশরেও প্রয়োজন হয় না।

 

শুধুমাত্র কোনো পুরুষ ঘোষণা দিলেই হয় যে, ‘আমি নারী হয়ে যেতে চাই, আমি নারী’।

 

আবার একই কথা কোনো নারী যদি বলে যে, ‘আমি পুরুষ’; তিনি পুরুষ হতে চেয়েছেন ব্যাস তিনি পুরুষ হয়ে গেলেন

 

তো এটা যদি হতে থাকে এক্ষেত্রে সমকামীতার যে পথ সেটি উন্মোচিত হবে।

 

একজন নারী যদি তিনি নিজেকে পুরুষ ঘোষণা দেন তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি আরেকজন নারীকে বিয়ে করবেন; এদিকে তো তিনি আসলেই নারী, তাহলে নারী নারীই বিয়ে হলো মানে সমকামীতার সৃষ্টি হলো।

 

তো এরকম সমকামীতাকে সরাসরি কোনো সমাজে হয়তো গেলানো যাচ্ছে না।

 

সেখানে এ ধরণের প্রবণতা দেখা যায় যেখানে ট্রান্সজেন্ডারকে স্বাভাবিক মনে করানো হচ্ছে যে এটা যার যার ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপার।

 

অথচ এর সাথে সামাজিক স্থিতিশীলতা/ অস্থিতিশীলতা অনেক কিছুর সম্পর্ক আছে।

 

অতএব এটাকে যেকোনো ভাবে আমাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে ।

 

আমাদের সমাজে এ ধরণের বিভ্রান্তিকর বিষয় যেন প্রচার করা না হয় সেজন্য দায়িত্বশীল মানুষদের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা রাখা উচিৎ।

 

এবং পৃথিবীর অনেক দেশে এখনো তাদের অনেক প্রজেক্টগুলো দেয়ার জন্য।

অনেক সহায়তা/ ঋণ ইত্যাদি দেয়ার জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে বলা হয় যে সমকামীতাকে সমর্থন করাকে।

 

রূপান্তরকারী নারী সমন্ধে ইসলাম কি বলে ?

তো সমকামীতাকে আমি সমর্থন করি বা না করি সেটা তো আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নেই।

 

আমি কি করবো না করবো, কি বিশ^াস করবো না করবো।

 

সেই লোকগুলো আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতার নাম দিয়ে আমাদের উপর এ সমস্ত শর্ত চাপিয়ে দেয়।

 

কত ভয়ংকর বিষয় যে একজন মানুষ নিজেকে যা ঘোষণা দিবেন তাকে তাই হিসেবে সমাজ মেনে নিতে বাধ্য হবে।

 

তিনি পুরুষ হয়ে মেয়েদের ওয়াশরুমে যাবেন।

 

মেয়ে হয়ে পুরুষদের ওয়াশরুমে যাবেন ।

 

কত শত বিষয় যে এর সাথে জড়িত সেটি আল্লাহ তা’আলাই একমাত্র ভালো জানেন বিধায় ।

 

এ ধরণের বিধ্বংসী বিষয়গুলো থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

এবং যারা সামান্য টাকার লোভে, বিদেশীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট পাওয়ার আশায় যারা এ সমস্ত কাজগুলো আমাদের দেশে আমদানি করছেন তারা কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে না।

Leave a Comment