অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কখন হয়, কি কারনে হয় ? চিকিৎসা ও সমাধান যারা খুজতেছেন তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আসলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কি কেন হয় চিকিৎসা কি?
স্বপ্নদোষ কি?
স্বপ্নদোষ কি? স্বপ্নদোষ বা নেকেটিভ স্বপ্ন (Nightmare) হল একটি মানসিক অসুস্থতা যা ঘুমের সময়ে আসে এবং ভয়ঙ্কর স্বপ্নের মাধ্যমে আপনার মনের উপর অনুভূতি তৈরি করে। স্বপ্নদোষে মানসিক চিন্তা, ডাক্তারিক চিন্তা বা দুষ্ট সম্পর্কিত চিন্তা এবং ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির স্মৃতির অংশ হতে পারে।
স্বপ্নদোষের সময় মানসিক দুঃস্বপ্নে আপনি উচ্চ সতর্কতা অনুভব করতে পারেন, এবং আপনার হৃদয়ের ঘৃণা, উদ্বেগ, বেচেড়ে আছে এমন সতর্কতা থাকতে পারে। স্বপ্নদোষের ফলে ঘুমের মাধ্যমে ভয় ও অস্থিরতা উপস্থাপন হতে পারে এবং পরিণত হতে পারেন ঝগড়া, জিউড়া বা ভয় ও উদ্বেগে উঠতে পারেন।
| চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রংপুর |
স্বপ্নদোষ সাধারণত সময়ের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেলা হয় এবং প্রায়শই বয়সের সাথে অবনতি করে যায়। স্বপ্নদোষ কারণে ঘুম বিচ্ছিন্ন হতে পারে এবং সার্বিকভাবে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্বপ্নদোষ অবস্থার জন্য মানসিক চিকিত্সার সাথে পরামর্শ নিতে উচিত, যাতে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করা যায়।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কি?
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কি? অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বা নাইটমেয়ার (নাইট ফল্লিং) একটি রোগ যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। এটি সাধারণত বাচ্চাদের এবং যৌবনের লোকের মধ্যে প্রচলিত হয়, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রায়ই বৃদ্ধিশীল লোকদেরও আক্রান্ত করতে পারে।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের কারণগুলি নিম্নরূপ
মানসিক জনিত কারণগুলি
কিছু মানসিক সমস্যা অথবা মানসিক চাপের কারণে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চমানসিক চাপ, আক্রান্তি, নার্কোলেপসি (নিদ্রামূলক সমস্যা), ডিপ্রেশন, চিন্তা বা মানসিক স্থানান্তরের জন্য চিন্তাভাবনা ইত্যাদি।
শারীরিক কারণগুলি
কিছু শারীরিক সমস্যা স্বপ্নদোষের কারণে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নিউরোলজিক সমস্যা, গ্রহণশক্তির সমস্যা, থাইরয়েড সমস্যা, জর্ডান সিন্ড্রোম (একটি মানসিক ও শারীরিক সমস্যা) ইত্যাদি।
কারবার্টেনেল সাবস্ক্রিপশন
কিছু ঔষধ বা ড্রাগ অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের উৎপাদনের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মাদকপণ্যস্থ পরিবেশের সংস্পর্শে অথবা কিছু ঔষধ ব্যবহারের ফলে স্বপ্নদোষ বা নাইটমেয়ার হতে পারে।
খাবার ও পানি
কিছু খাদ্য বা পানীয় পদার্থ এমনকি অতিরিক্ত শর্করা ও ক্যাফিন সম্মিলিত পদার্থ নিয়ে স্বপ্নদোষের হত্তয়ার কারণ হতে পারে।
ভূত ও সাহিত্যিক প্রভাব
ভূতের গল্প পড়া বা দেখা, ডার্ক এবং ভয়ঙ্কর মুহূর্ত দেখানো সাহিত্যিক উপাদানগুলির প্রভাবেও কিছু লোকের স্বপ্নদোষ হতে পারে।
ক্ষুদ্র পরিবেশ পরিবর্তন
কিছু মানসিক ও শারীরিক পরিবেশের পরিবর্তন (যেমনঃ নতুন বাসা, পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, সংঘটিত দুর্ঘটনা ইত্যাদি) স্বপ্নদোষের উৎপাদনের কারণ হতে পারে।
হার্মোনাল পরিবর্তন
প্রজননক্ষমতা অথবা অন্যান্য হার্মোনাল সমস্যা স্বপ্নদোষের কারণ হতে পারে।
গভীর মেডিটেশন বা যোগাসন প্রাকটিস
যে কেউ যখন গভীর মেডিটেশন বা যোগাসন প্রাকটিস করেন, তখন তাদের স্বপ্নদোষের হত্তয়া বেড়ে যেতে পারে।এগুলি হলো কেবলমাত্র কিছু সাধারণ উদাহরণ, এখানে মানসিক ও শারীরিক কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে এবং ব্যক্তি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা
এই সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য একজন চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, স্বপ্নের গভীরতা ও অস্বাভাবিক স্বপ্নের কারণেও অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে পারে। কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং মানসিক সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। সর্বোপরি, একজন চিকিৎসকের পরামর্শ এবং নিদিষ্ট চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভর্তি হওয়া উচিত।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে চিকিৎসা কি
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ স্বপ্নদোষ হলে চিকিৎসা কি হতে পারে? স্বপ্নদোষ চিকিত্সা স্বপ্নদোষ বা নাইটমেয়ার সমস্যার জন্য সাধারণত চিকিত্সা প্রয়োজন হতে পারে না। কারণ স্বপ্নদোষ আমাদের নিদ্রার সময় সাধারণত নিঃশব্দ ও নিষ্পন্ন ঘটনা। অনেকের জন্য স্বপ্নদোষ যেমন শিশুদের মধ্যে সাধারণ ও স্বাভাবিক অবস্থা হয়, এটি কোনো বিশেষ চিকিত্সা প্রয়োজন করে না।
তবে, স্বপ্নদোষ একটি নিদ্রাবিঘ্ন হতে পারে এবং কোনো নিদ্রাবিঘ্ন যদি অত্যন্ত জ্বলন্ত হয় বা দৈত্যান্তিক সময় বা সময়সীমা অর্জন করে তবে এটি একটি সমস্যা হতে পারে এবং চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে।
চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী
যদি কেউ স্বপ্নদোষে ভূগল্পিত হয় এবং এর জন্য তারা ক্ষুধামন্দিত বা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে সেই ব্যক্তির একটি চিকিত্সাবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত হবে। চিকিত্সাবিদ সাধারণত মনঃচিকিৎসা বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হতে পারেন যারা বিভিন্ন চিকিত্সামূলক পদক্ষেপ ব্যবহার করে সমস্যার মূল কারণগুলি নির্ধারণ করতে ও উপযুক্ত চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারেন।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কখন হয়, কি কারনে হয় ? চিকিৎসা ও সমাধান
চিকিৎসা পরামর্শের মধ্যে থাকতে পারে
- মনঃচিকিৎসা বা মানসিক সমস্যা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা
- মেডিটেশন, ধ্যান বা শারীরিক নিদ্রা প্রাকটিস পরামর্শ
- মনোযোগ দিতে পারে নিদ্রার সময় পরিবেশ পরিবর্তন (উদাহরণস্বরূপ শান্ত এবং সুরম্য ঘর, শ্বাসপ্রশ্বাস প্রাণায়াম প্রক্রিয়া বা মিউজিক সহ নিদ্রায় যাওয়া)
- পরিবর্তন করতে হতে পারে সংশোধনশীল জীবনযাপন ও পুরোনো অভ্যাসগুলির সাথে চিকিৎসাবিদের পরামর্শ
- সমস্যার গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে, চিকিত্সাবিদ সমাধান প্রস্তাবনা করতে পারেন যেমন মনঃচিকিৎসা, মানসিক পরামর্শ বা প্রয়োগ করতে পারেন মেডিকেশন।
আপনি একটি মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলতে চাইলে, আপনার স্থানীয় চিকিত্সা কেন্দ্রে অথবা মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থা বা অনলাইনের মাধ্যমে সাহায্য পেতে পারেন।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে সমাধান কি
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে সমাধান কি হতে পারে? তা নিয়ে আর টেনশন নয়। স্বপ্নদোষের সমাধান নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন:
নিদ্রাপদার্থ পরিচর্যা
নিদ্রার জন্য শান্ত এবং সুরম্য ঘরে ঘুমান, আবহাওয়া কন্ট্রোল করুন, উপযুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাস প্রাণায়াম প্রক্রিয়া করুন এবং নিদ্রায় যাওয়ার আগে শান্তিপূর্ণ একটি রুটিন পালন করুন।
খাদ্য ও পানির পরিচর্যা
শর্করা ও ক্যাফিন যুক্ত খাদ্য এবং পানি এবং অন্যান্য প্রতিবেশী পদার্থ মেয়ার অবস্থা থেকে বিরত থাকুন। নিদ্রার আগে কাফিন যুক্ত পানি বা পানীয় পদার্থ খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
স্বাভাবিক নিদ্রাস্থান পরিবেশ
আপনার নিদ্রাস্থান পরিবেশটি শান্ত ও সুরম্য রাখুন। উচ্চ শব্দের শব্দ বা আলো, এয়ারকন্ডিশনিং বা তাপমাত্রা সম্পর্কিত মাধ্যম বা উপকরণগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।
মেডিটেশন এবং শান্তিপূর্ণ প্রাকটিস
মেডিটেশন ও ধ্যান করে মনঃশান্তি এবং নিদ্রায় সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন মেডিটেশন করতে প্রচেষ্টা করুন এবং নিদ্রায় যাওয়ার আগে শান্তিপূর্ণ প্রাকটিস করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম, শরীরের যোগাযোগ সঠিক রাখা এবং প্রাকৃতিক আলোকে সময় কাটানোর প্রচেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত শারীরিক আয়োজন ও বিভিন্ন শারীরিক প্রয়াস একটি স্বাস্থ্যকর নিদ্রায় সহায়তা করতে পারে।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কখন হয়, কি কারনে হয় ? চিকিৎসা ও সমাধান
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করার পাশাপাশি সমস্যাটি দূর করার জন্য একজন মনঃচিকিৎসা বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা উচিত হতে পারে। তারা আপনাকে আরও উপযুক্ত পরামর্শ এবং সমাধান প্রদান করতে সহায়তা করবেন।
