বি:দ্র: This post is only for education Purpose only.
বিটকয়েন কেনা বেচা সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ তুঙ্গে । ব্লকচেইনের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠা ক্রিপ্টকারেন্সি আমাদের মোহ লাগিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা সকলেই চাই নিজেও বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টকারেন্সির মালিক হতে। অনেকে চায় ক্রিপ্টকারেন্সি দিয়ে ট্রেডিং করে বড়লোক হতে। আবার কেউ চায় বিটকয়েন কিনে কুল ভাব নেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য সেগুরে বালি। বাংলাদেশ থেকে ক্রিপ্ট কারেন্সি কেনা-বেচা করা অবৈধ। তাই কেউ কিনতে যাবেন না আবার।তাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে থেকে বিটকয়েন কেনা যায়।
বিটকয়েন কেনা যায় যেভাবে
আমরা সাধারণত জিনিসপত্র নিয়ে ভাবে কিনি। কোন দোকান বা অনলাইন শপ থেকে। ঠিক তেমনি ক্রিপ্ট কারেন্সিও কোন একটা শপ থেকে কিনতে হয়। এই ধরনের অনলাইন শপকে বলে ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ।ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জে নিজের ওয়ালেট খুলতে হয়। এবং সেই ওয়ালেট ব্যবহার করে। ক্রিপ্টকারেন্সি , Nft বেচা কেনা করা যায়। মানে আমরা যেমন মানি ব্যাগে টাকা রাখি।তেমনি আপনার ওয়ালেটে ক্রিপ্টকারেন্সি (যেমন বিটকয়েন), Nft ইত্যাদি রাখতে হবে ।
ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ কী ?
ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ হলো এমন একটা অনলাইন শপ বা সাইট । যেখানে বিভিন্ন ক্রিপ্ট প্রডাক্ট যেমন Nft , বিভিন্ন ক্রিপ্টকারেন্সি(যেমন বিটকয়েন) ইত্যাদি । অনেক ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ আছে । যেখান থেকে এসব কেনা – বেচা করা হয়। যেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
Binance থেকে বিটকয়েন কেনা
ডেইলি ট্রেডিং এর দিক দিয়ে Binance হলো পৃথিবীর সেরা ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ কোম্পানি। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কোম্পানি । যায় CEO চ্যাংপেং যাও ।এই এক্সচেঞ্জে প্রায় ৩৯৫ টি ক্রিপ্ট কারেন্সি সাপোর্ট করে । যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর এই এক্সচেঞ্জ এর মধ্যে দিয়ে আদান প্রদান ক্রিপ্ট কারেন্সির মূল্য প্রায় $8,063,593,513।
Coin Base থেকে বিটকয়েন কেনা
২০১২ সালে Brian Armstrong এবং Fred Ehrsam Coin Base এর প্রতিষ্ঠাত করেন। যা বর্তমানে US এর সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীতে ২য় তম ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জ । এই কোম্পানি সম্পর্কে সবচেয়ে মজার তথ্য হলো। এই কোম্পানিতে চাকরী করে ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী 3,730 জন। যাদের প্রত্যেকে রিমোট জব করে। মানে কেউই অফিসে আসেন না। প্রত্যেকে নিজের বাড়ি থেকে কাজ করে। এখানে প্রায় ১৭৬ টি ক্রিপ্ট কারেন্সি কেনা – বেচা করা যায় ।
Blockchain থেকে বিটকয়েন কেনা
এটাকে আবার ব্লকচেইন টেকনলেজির সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।দুটোই আলাদা জিনিস। মাত্র ২৭ টি ক্রিপ্টকারেন্সি কেনা – বেচা করা যায় এই এক্সচেঞ্জে ।২০১১ সালে এই এক্সচেঞ্জের শুরু হয় ।২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮% বিটকয়েন এর কেনা – বেচা হয় ।
বিটকয়েন কীভাবে বিক্রি করে
বেশিরভাগ ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জে লেনদেন করা যায় । অর্থাৎ কেনা এবং বেচা দুটোই করা যায়। তাই বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্ট কারেন্সি বিক্রি করতে চাইলে। ক্রিপ্ট এক্সচেঞ্জে বিক্রি কয়ে দেয়া যায় । এবং বিক্রির পর সেটার দামও নিয়ে নেওয়া যায়।
বিটকয়েন থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অনেকে ক্রিপ্টকারেন্সি (যেমন বিটকয়েন) কিনে রেখে দেয়। কিছুদিন পর দাম বাড়লে সেই কারেন্সি বিক্রি করে দেয় ।এভাবেই ক্রিপ্টকারেন্সি থেকে ইনকাম করা যায়। ক্রিপ্টকারেন্সির ট্রেডিং করে অনেকে বিলিয়নিয়ার বা মিলিয়নিয়ার হয়ে গেছে। যা আমরা টিভি বা ইন্টারনেট দেখতে পাচ্ছি । তবে অনেকে সবকিছু হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে যায় । এই ক্রিপ্ট কারেন্সিতে ইনভেস্ট করে। অনেক সময় হাইপ তুলে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় । এবং তারপর যখন মার্কেট পরে যায় তখন অনেকের লস হয়। যেটা আমরা দেখতে পাই না (বা আমাদের দেখানো হয় না) ।
Conclusion:
এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি কিভাবে বিটকয়েন বা ক্রিপ্ট কারেন্সি কেনা – বেচা করা যায়। এবং কিভাবে ক্রিপ্ট কারেন্সি থেকে ইনকাম করা যায়। অনেক সাইট থেকে BDT বা বাংলাদেশি টাকা দিয়েও কেনা যায়। যেটা সম্পর্কে আমি আলোচনা করিনি। কারণ এটা বাংলাদেশে অবৈধ। তাই আমি বলব জানার জন্য এই বিষয়ে ঘাটাঘাটি করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশিরা কথনও নিজে কিনবেন না। পোস্টটি অনেক ছোট হলো । তবে আজ এটুকুই থাক ।বুঝতে কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন।