আশা করি সবাই ভাল আছেন ।
আজকের এই পোস্টে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে কথা বলব ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে ধারণা এবং এর কিছু বিষয় সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব ।
তাই আর সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী ?
Virtual Reality শব্দটি ইংরেজি শব্দ Virtual এবং ইংরেজি শব্দ Reality এর সমন্বয়ে তৈরি ।
ভার্চুয়াল শব্দের অর্থ হলো কাল্পনিক বা অপার্থিব এবং রিয়েলিটি শব্দের অর্থ বাস্তবতা।
Virtual Reality শব্দের অর্থ হল কাল্পনিক বাস্তবতা ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে আপনি অবাস্তব অনেককিছু শুধুমাত্র দেখতে পারবেন ।
ধরতে, ছুঁতে বা অনুভব করতে পারবেন না ।
কিভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাজ করে ?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সিস্টেম, যার মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল বা অবাস্তব জগৎ সৃষ্টি করা যায় ।
আপনি আপনার ঘরে বসেই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান বা অকল্পনীয় জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে পারেন ।
যা কম্পিউটারের ভেতরে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হবে ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে অনেক কাজই করা যায়
আপনাকে কিছু উদাহরণের মাধ্যমে বোঝাচ্ছি ।
মনে করেন, আপনি 1971 সালের বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটা স্বচক্ষে দেখতে চান ।
সে ক্ষেত্রে সেই রকম একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করে আপনার চোখে একটি ভিয়ার(VR) গগলস পরিয়ে দেওয়া হবে ।
যার ফলে আপনি অন্য একটি দুনিয়ায় চলে যাবেন ।
আপনার আশেপাশের সব কিছুই ১৯৭১ সালের মত দেখতে পারবেন ।
এভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে 3d অথবা 5d দুনিয়া তৈরি করা সম্ভব ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে তৈরি জিনিসপত্র দেখতে এতটাই বাস্তব ।
আপনার মনে হবে আপনি বাস্তবে সবকিছু দেখতে পারছেন ।
কিন্তু এগুলো বাস্তব নয় সবাই ভার্চুয়াল ।
ভার্চুয়াল রিলেটেড ব্যবহার
দিন দিন ভার্চুয়াল রিলেটেড ব্যবহার বেড়েই চলেছে ।
ফাইভ-জি প্রযুক্তি আসার পর থেকে এটির ব্যবহার আরও বেড়েছে ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । যেমন:
- প্লেন বা ট্রেনের মত বড় এবং ভালো যানবাহন চালানোর প্র্যাকটিস করার জন্য ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় ।
- বড় বড় সুপার শপ বা গেমের দোকানে এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে গেম খেলার ব্যবস্থা করা হয় । যার মাধ্যমে আপনি গেমের ভিতরে ঢুকে গেম খেলার মত অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ।
- জটিল এবং কঠিন সব অপারেশন ডাক্তাররা এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে প্র্যাকটিস করতে পারেন ।
- ভিয়ার (VR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি সামনা সামনি ভার্চুয়াল জগতে কথা বলা যায় । যেমন মনে হবে দুজন সামনাসামনি দাঁড়িয়ে আছেন । কিন্তু হাজার হাজার মাইল দূর থেকেও দুজনে এভাবে কথা বলা সম্ভব ।
আরো পড়ুন, Web 3.0 কী?Web 3.0 কিভাবে কাজ করে?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সুবিধা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি গেম চেঞ্জার প্রযুক্তি ।
এটি আসার পরে অনেক কাজ আমরা করতে পারি যা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি ।
এই প্রযুক্তির অনেক সুবিধা যার মধ্যে আমি কিছু আলোচনা করলাম ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি আসার ফলে অনেক দিকে অনেক সুবিধা আমরা পেয়ে থাকি । যেমন:
- শিক্ষা এবং ট্রেনিং সংক্রান্ত কাজের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার ব্যাপক । অনেক কাজেই ভার্চুয়ালিটি ব্যবহার করে শিক্ষা এবং ট্রেনিং দেওয়া যায় । যেমন: ভারী ট্রাক প্লেন বা ট্রেন চালানো ইত্যাদি ।
- অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করতে গেলে আহত হওয়ার একটি ঝুঁকি থেকে যায় । এক্ষেত্রে ওসব কাজ প্রশিক্ষণের জন্য Virtual Reality ব্যবহার করা যায় ।
- বিভিন্ন জিনিসপত্র পরিকল্পনা কাজে Virtual Reality খুবই কাজের জিনিস পরিকল্পনার কাজে Virtual Reality ব্যবহার ব্যাপক ।যেমন : ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে আমরা একটি বাড়ির ডিজাইন করে দেখতে পারি । বাড়িটি কেমন হবে, তারপরে আমরা সেই বাড়িটি বাস্তবে তৈরি করতে পারি।
- Virtual Reality গেমিং এর দুনিয়ায় একটি বিপ্লব নিয়ে এসেছে । ভার্চুয়ালিটির মাধ্যমে এখন আমরা গেমের ভেতরে ঢুকে যেতে পারি এবং গেম খেলার একদম অন্যরকম অন্য মাত্রার অভিজ্ঞতা পেতে পারি ।
শেষ কথা
আজকে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ।
আশা করি আপনি Virtual Reality সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন ।
এখানে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে বেসিক কথাবার্তা আলোচনা করেছি ।
আপনি আরো ভালো ধারণার জন্য উইকিপিডিয়া সহ আরো অন্যান্য ইংরেজি ব্লগ পড়ে দেখতে পারেন ।
এরকম আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে আমাদের এই ব্লগে লেখা রয়েছে ।
আপনি চাইলে সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন ।
প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে দারুন দারুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের এই ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ।
আজকের মত এ পর্যন্তই থাক ।
আবার নতুন কোন পোস্টে নতুন কোন বিষয় নিয়ে দেখা হবে ।