মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়? মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়? | বৈজ্ঞানিক উত্তর জানুন
মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়
মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়? এই প্রশ্নটি অনেক দম্পতিরই মনে থাকে। এই নিবন্ধে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমরা আলোচনা করব ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কখন, এবং সহবাসের সময় আর কী কী বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত।
Table of Contents
- ভূমিকা
- ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কখন?
- মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়?
- সহবাসের সময় আর কী কী বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত?
- ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর টিপস
- ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়ে সাধারণ ভুল ধারণাগুলো
- ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়
ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়টি অনেক দম্পতিরই কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক দম্পতিই চান তাদের একটি ছেলে সন্তান হোক।
কিন্তু মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়?
এই প্রশ্নটির উত্তর সবসময় একটি নয়।
কারণ, ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
যেমন, মহিলার মাসিকের চক্র, সহবাসের সময়, শুক্রাণুর গুণমান ইত্যাদি।
এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কখন, এবং সহবাসের সময় আর কী কী বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত।
ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কখন?
ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি মহিলার মাসিকের চক্রের মাঝামাঝি সময়ে।
এই সময়টিকে ফার্টিল উইন্ডো (fertile window) বলা হয়।
ফার্টিল উইন্ডো হলো মহিলার মাসিকের চক্রের যেকোনো সময় যখন তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
ফার্টিল উইন্ডো সাধারণত মহিলার মাসিকের চক্রের ১৪তম দিনের আগে, পরে এবং當天 ঘটে।
অর্থাৎ, যদি কোনো মহিলার মাসিকের চক্র ২৮ দিনের হয়, তাহলে তার ফার্টিল উইন্ডো সাধারণত ১২তম থেকে ১৬তম দিনের মধ্যে থাকবে।
তবে ফার্টিল উইন্ডোর দৈর্ঘ্য প্রতিটি মহিলার ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে।
এছাড়া, মহিলার মাসিকের চক্র অনিয়মিত হলে তার ফার্টিল উইন্ডোর সঠিক সময় নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে।
মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়?
ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর টিপস
ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য
নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- মাসিকের ফার্টিল উইন্ডোতে সহবাস করুন: ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে মাসিকের ফার্টিল উইন্ডোতে। তাই এই সময়টিতে সহবাস করলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়বে।
- শুক্রাণুর আয়ু বাড়াতে সহায়ক খাবার খান: শুক্রাণুর আয়ু বাড়াতে সহায়ক খাবারগুলো হলো: বাদাম, ফল, সবজি, এবং মাছ। তাই এই খাবারগুলো বেশি করে খেলে শুক্রাণুর আয়ু বাড়বে এবং ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনাও বাড়বে।
- শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে করুন: শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি, ই, এবং এ। তাই এই ভিটামিনগুলোর চাহিদা পূরণ করার জন্য ফল, সবজি, এবং বাদাম বেশি করে খান।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন: ধূমপান ও মদ্যপান শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে। তাই এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়বে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়বে।
ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়ে সাধারণ ভুল ধারণাগুলো
ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়ে অনেক সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় পুরুষের উপরে থাকা উচিত: এই ধারণাটি ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় পুরুষের উপরে থাকা বা নিচে থাকা কোনো প্রভাব ফেলে না।
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে পুরুষের ঠান্ডা পানীয় পান করা উচিত: এই ধারণাটিও ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে পুরুষের ঠান্ডা পানীয় পান করা বা না করা কোনো প্রভাব ফেলে না।
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নারীর গরুর দুধ পান করা উচিত: এই ধারণাটিও ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নারীর গরুর দুধ পান করা বা না করা কোনো প্রভাব ফেলে না।
ছেলে সন্তান ধারণের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: মাসিকের কয়দিন পর সহবাস করলে ছেলে সন্তান হয়?
উত্তর: মাসিকের ফার্টিল উইন্ডোতে সহবাস করলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাধারণত মাসিকের ১২ থেকে ১৬তম দিনের মধ্যে ফার্টিল উইন্ডো থাকে। তাই এই সময়ের মধ্যে সহবাস করলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রশ্ন ২: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কী খাবার খাওয়া উচিত?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণুর আয়ু ও গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলো খাওয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে বাদাম, ফল, সবজি, এবং মাছ।
প্রশ্ন ৩: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কী কী করণীয়?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য নিম্নলিখিত করণীয়গুলো মেনে চললে সম্ভাবনা বাড়বে:
- মাসিকের ফার্টিল উইন্ডোতে সহবাস করুন।
- শুক্রাণুর আয়ু ও গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলো খান।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন।
প্রশ্ন ৪: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় কী কী করণীয়?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত:
- পুরুষের বীর্যপাত ডিম্বাণুর সাথে মিলনের জন্য যতটা সম্ভব কাছাকাছি হওয়া উচিত। তাই সহবাসের সময় পুরুষের বীর্যপাত নারীর যোনিতে হওয়া উচিত।
- বীর্যপাতের পর পুরুষের দেহ থেকে যতটা সম্ভব দ্রুত বীর্য বের হয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, বীর্যপাতের পর নারীর শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষারীয় পরিবেশ শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রশ্ন ৫: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে কী কী খাওয়া উচিত?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নিম্নলিখিত খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে:
- বাদাম: বাদাম শুক্রাণুর আয়ু ও গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ফল: ফল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ভালো উৎস, যা শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- সবজি: সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভালো হজম স্বাস্থ্য শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
- মাছ: মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রশ্ন ৬: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে কী কী খাওয়া উচিত নয়?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নিম্নলিখিত খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়:
- অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে।
- ক্যাফেইন: ক্যাফেইন শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে।
- কৃত্রিম মিষ্টি: কৃত্রিম মিষ্টি শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে।
- অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে।
প্রশ্ন ৭: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কীভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার আপনার ও আপনার সঙ্গীর স্বাস্থ্যের ইতিহাস পরীক্ষা করে এবং আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবেন।
প্রশ্ন ৮: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা আছে কি?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা নেই। তবে, কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসা শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তাই, যদি আপনার সন্তান ধারণে সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
প্রশ্ন ৯: ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কতটা?
উত্তর: ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা প্রায় 50%। কারণ, প্রত্যেক ডিম্বাণুর সাথে মিলনের জন্য দুটি শুক্রাণু থাকে। একটি শুক্রাণুতে X ক্রোমোজোম থাকে, অন্যটিতে Y ক্রোমোজোম থাকে। X ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু মিলিত হলে মেয়ে সন্তান হয়, আর Y ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু মিলিত হলে ছেলে সন্তান হয়।
প্রশ্ন ১০: ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কী কোনো গ্যারান্টি আছে?
উত্তর: না, ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কোনো গ্যারান্টি নেই। ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এটি নিশ্চিত করে না যে আপনি ছেলে সন্তান পাবেন।
ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- নিয়মিত সহবাস করুন: নিয়মিত সহবাস করলে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান বৃদ্ধি পায়।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন: মানসিক চাপ শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস করতে পারে।
ছেলে সন্তান ধারণের জন্য কিছু ভুল ধারণা:
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় পুরুষের উপরে থাকা উচিত: এই ধারণাটি ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের সময় পুরুষের উপরে থাকা বা নিচে থাকা কোনো প্রভাব ফেলে না।
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে পুরুষের ঠান্ডা পানীয় পান করা উচিত: এই ধারণাটিও ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে পুরুষের ঠান্ডা পানীয় পান করা বা না করা কোনো প্রভাব ফেলে না।
- ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নারীর গরুর দুধ পান করা উচিত: এই ধারণাটিও ভুল। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের আগে নারীর গরুর দুধ পান করা বা না করা কোনো প্রভাব ফেলে না।
উপসংহার:
ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
তবে, কোনো গ্যারান্টি নেই যে এটি আপনাকে ছেলে সন্তান দেবে। ছেলে সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা এবং নিয়মিত সহবাস করা।
ছেলে সন্তান হওয়ার জন্য করণীয়
ছেলে সন্তান হওয়ার জন্য করণীয় নিম্নরূপ:
-
ডিম্বপাতের সময় মিলন করা: ছেলে সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ থাকে ডিম্বপাতের দিন বা তার দুই দিন আগে। ডিম্বপাতের সময়, ডিম্বাণুটি জরায়ুর ফ্যালোপিয়ান টিউবে থাকে। এই সময়ে, Y-ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুগুলির ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
-
পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করা: Y-ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুগুলি X-ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুগুলির তুলনায় ছোট এবং ধীরগতির। তাই, পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করা হলে ছেলে সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
- ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
-
স্ত্রীর পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা: ডিম্বাণুর চারপাশের পরিবেশের পিএইচ লেভেল Y-ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর জন্য আরও অনুকূল। তাই, স্ত্রী যদি ডিম্বপাতের সময় তার পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে ছেলে সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। ডিম্বাণুর চারপাশের পরিবেশের পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
- অ্যাসিডযুক্ত খাবার এবং পানীয় পরিহার করা
- যোনিপথে অ্যাসিডযুক্ত তরল ব্যবহার করা
উল্লেখ্য যে, ছেলে সন্তান হওয়ার জন্য উপরোক্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলেও তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে অনেকগুলি কারণের উপর, যার মধ্যে পুরুষ এবং মহিলার জিনগত গঠন অন্যতম।
কখন মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়
ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য, মেলামেশা করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
- ডিম্বাণুর নিঃসরণ হওয়ার সময় মেলামেশা করা: ডিম্বাণুর নিঃসরণ হওয়ার 24 ঘন্টা আগে বা পরে মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ এই সময়ে শুক্রাণুর Y ক্রোমোজোম ডিম্বাণুতে প্রবেশের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- স্ত্রীর পিএইচ স্তরের পরিবর্তন করা: স্ত্রীর যোনির পিএইচ স্তর নিরপেক্ষ বা সামান্য ক্ষারযুক্ত হলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই জন্য, মেলামেশা করার আগে স্ত্রীকে কিছুটা বেকিং সোডা বা লেবুর রস পান করতে বলা যেতে পারে।
- পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করা: পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে, তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং ধূমপান এবং মদ্যপান এড়ানো উচিত।
তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি নির্ভর করে শুক্রাণুর Y ক্রোমোজোমের উপর। Y ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করলে ছেলে সন্তান হয়, আর X ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করলে মেয়ে সন্তান হয়। তাই, উপরের বিষয়গুলি মেনে চললেও ছেলে সন্তান হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
এছাড়াও, ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কিছু লোক বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ বা টনিক ব্যবহার করে। তবে, এই ধরনের ওষুধ বা টনিকের কার্যকারিতা সম্পর্কে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
সাধারণভাবে, ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। তবে, উপরের বিষয়গুলি মেনে চললে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে।
সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়
সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হয়। প্রেগন্যান্সি টেস্টে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। এই হরমোনটি হলো মানব chorionic gonadotropin (hCG)। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ডিম্বাশয় থেকে hCG হরমোন নিঃসৃত হতে শুরু করে। গর্ভধারণের ২১ দিনের মধ্যে এই হরমোনের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায় এবং প্রেগন্যান্সি টেস্ট দ্বারা নির্ণয় করা যায়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি টেস্ট সহবাসের ১৪ দিন পরও সঠিক ফলাফল দিতে পারে। এক্ষেত্রে টেস্টটি সকালবেলায় করা উচিত, কারণ এই সময়ে প্রস্রাবে hCG হরমোনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।
আপনি যদি সহবাসের পরপরই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করেন, তাহলে ফলাফল নেতিবাচক আসতে পারে। কারণ এই সময়ে প্রস্রাবে hCG হরমোনের মাত্রা এতই কম থাকে যে তা প্রেগন্যান্সি টেস্ট দ্বারা নির্ণয় করা যায় না।
সুতরাং, আপনি যদি গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করতে চান, তাহলে সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন।
পিরিয়ডের কত দিন পর সহবাস করলে সন্তান হবে
সাধারণত, পিরিয়ডের শুরুর দিন থেকে ধরলে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝে, অর্থাৎ এই ১০ দিনের যেকোনো দিন সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ এই সময়টা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয় এবং জরায়ুতে শুক্রাণুর সাথে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডিম্বাণু জরায়ুতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তাই এই ১০ দিনের যেকোনো দিন সহবাস করলেই ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় জরায়ুতে শুক্রাণু থাকতে পারে এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে পারে।
তবে, ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় একজন নারীর শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন, জরায়ুর মুখ থেকে সাদা, পিচ্ছিল স্রাব হতে পারে। এছাড়াও, কিছু নারীর বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা বা জ্বর হতে পারে।
ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন উপায় আছে। যেমন,
- মাসিক চক্রের গণনা: একজন নারীর মাসিক চক্রের গড় দৈর্ঘ্য যদি ২৮ দিন হয়, তাহলে ডিম্বাণু নিঃসরণের দিন হলো মাসিকের শুরুর দিন থেকে ১৪ দিন পর।
- ওভিওলেশন কিট: এই কিটগুলো ব্যবহার করে ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় নির্ণয় করা যায়।
- ডাক্তারের পরামর্শ: একজন ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় নির্ণয় করতে পারেন।
যদি আপনি দ্রুত সন্তান নিতে চান, তাহলে এই সময়গুলোতে সহবাস করা উচিত। তবে, মনে রাখবেন যে, সন্তান হওয়ার জন্য শুধুমাত্র ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করলেই হবে না। পুরুষের শুক্রাণুও ভালো মানের হতে হবে।
এছাড়াও, সন্তান হওয়ার জন্য একজন নারীর শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও জরুরি।
কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
সাধারণত, ওভুলেশনের তিন দিন আগে থেকে ওভুলেশনের দিন পর্যন্ত সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এই সময়ে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু নিঃসরিত হয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রবেশ করে।
এই সময়ে যদি শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে, তাহলে গর্ভধারণ হয়।
ওভুলেশনের দিনটি নির্ধারণ করার জন্য, আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন:
- ঋতুচক্রের উপর ভিত্তি করে: একটি নিয়মিত ঋতুচক্রের ক্ষেত্রে, ওভুলেশন সাধারণত ঋতুচক্রের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ঋতুচক্র ২৮ দিনের হয়, তাহলে ওভুলেশন সাধারণত ১৪তম দিনে ঘটে।
- ওভুলেশন কিট ব্যবহার করে: ওভুলেশন কিটগুলি আপনার প্রস্রাবে হিউম্যান করিয়েটিক গোনাডোট্রপিন (এইচসিজি) এর মাত্রা পরিমাপ করে। এইচসিজি হল একটি হরমোন যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় শরীরে নিঃসৃত হয়।
- ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে: আপনার ডাক্তার আপনার ঋতুচক্র এবং ওভুলেশনের সময় নির্ধারণ করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
ওভুলেশনের সময় সহবাস ছাড়াও, গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে পারেন:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
আপনি যদি গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন এবং প্রায় এক বছর ধরে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে না
সহবাসের পরপরই বাচ্চা পেটে আসে না। একজন মহিলার মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়। এই সময়কে “উর্বর সময়” বলা হয়। ডিম্বাণু নিঃসরণের পর 12-24 ঘন্টা পর্যন্ত এটি নিষিক্ত হওয়ার জন্য উপযুক্ত থাকে।
তাই সহবাসের পর যদি ডিম্বাণু নিঃসরণ না হয়ে থাকে, তাহলে বাচ্চা পেটে আসবে না।
সাধারণত, একটি মহিলার মাসিক চক্র 28 দিনের হয়। এই চক্রের 14 তম দিনে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়।
তাই সহবাসের পর যদি 14 তম দিনের আগে হয়, তাহলে বাচ্চা পেটে আসবে না।
তবে, মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য সবার ক্ষেত্রে একই হয় না। তাই কিছু মহিলার ক্ষেত্রে ডিম্বাণু নিঃসরণ আগে বা পরেও হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু কারণে ডিম্বাণু নিষিক্ত নাও হতে পারে। যেমন:
- পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বা গুণগত মান কম থাকলে
- ডিম্বাণুর ওভ্যুলেশন ঠিকমতো না হলে
- জরায়ুর অভ্যন্তরে কোন সমস্যা থাকলে
তাই, সহবাসের পর বাচ্চা পেটে আসে না, এর অনেক কারণ থাকতে পারে।
যদি আপনি গর্ভবতী হতে চান, তাহলে আপনার মাসিক চক্রের হিসাব রাখুন এবং উর্বর সময়ে সহবাস করুন। এছাড়াও, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:
- আপনার মাসিক চক্রের হিসাব রাখুন এবং উর্বর সময়ে সহবাস করুন।
- আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত ঘুমান।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না
মাসিকের পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে মাসিকের 10 দিনের মধ্যে।
এই সময়কে “ফারটাইল উইন্ডো” বলা হয়।
ফারটাইল উইন্ডোর মধ্যে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয় এবং জরায়ুতে শুক্রাণু নিষিক্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
মাসিকের পর 10 দিনের আগে বা পরে সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মাসিকের পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে দূর করা যায় না।
যদি কোনও মহিলা মাসিকের পর সহবাস করেন, তাহলে তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও একেবারে শূন্য নয়।
মাসিকের পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে হলে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
- মাসিকের শুরুর দিন থেকে 10 দিনের মধ্যে সহবাস এড়িয়ে চলা।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা, যেমন কনডম, পিল, বা ইনজেকশন।
- মাসিকের সময় এবং পরে জরায়ুতে শুক্রাণু বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমাতে, সহবাসের পর সঙ্গীর পুরুষাঙ্গ দ্রুত জরায়ু থেকে বের করে ফেলা।
মাসিকের পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে।
পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না
পিরিয়ডের শুরুর প্রথম 7 দিন এবং শেষের প্রথম 7 দিন সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এই সময়টাকে নিরাপদ সময় বলা হয়।
তবে, এই পদ্ধতিটি 100% কার্যকর নয়। পিরিয়ডের সাইকেল নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর নাও হতে পারে।
পিরিয়ডের শুরুর প্রথম 7 দিনের মধ্যে ডিম্বাণু নিঃসরিত হয় না। তাই এই সময় সহবাস করলে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পিরিয়ডের শেষের প্রথম 7 দিনের মধ্যে ডিম্বাণু নিঃসরিত হয়ে যাওয়ার পরপরই গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে।
এই সময় ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে, এই সময়ের মধ্যেও ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে গর্ভধারণ হতে পারে।
পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না, তা নির্ভর করে মহিলাটির মাসিকের সাইকেলের উপর।
সাধারণত, মাসিকের সাইকেল 28 দিনের হয়।
এই ক্ষেত্রে, পিরিয়ডের শুরুর 14 দিন আগে এবং শেষের 14 দিন পরে সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
নিরাপদ সময়ের মধ্যে সহবাস করলেও সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে দূর করা যায় না।
তাই, নিরাপদ সময়ের মধ্যেও সহবাস করার সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত।
নিম্নলিখিত কারণগুলির কারণে পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না তা নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে:
- মাসিকের সাইকেলের অনিয়ম: কিছু মহিলার মাসিকের সাইকেল নিয়মিত নাও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, নিরাপদ সময় নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে।
- ডিম্বাণু নিঃসরণের সময়ের অনিশ্চয়তা: ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় নির্ধারণ করা কঠিন। তাই, নিরাপদ সময় নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে।
- গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধিকারী কারণগুলি: কিছু কারণ গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে। যেমন, গর্ভধারণের চেষ্টা করা, ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করা, এবং বীর্যপাতের পর দীর্ঘক্ষণ সহবাস করা।
সুতরাং, পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না তা নির্ধারণ করা কঠিন।
তাই, নিরাপদ সময়ের মধ্যেও সহবাস করার সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত।