সরকারী ঋণ নিয়ে বাসা করা কি হালাল ?

সরকারী ঋণ নিয়ে বাসা করা কি হালাল ? আমার স্বামী একজন হাই স্কুল শিক্ষক, সরকার শিক্ষকদের চাকরির উপর ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। আমার বাড়ি করার জন্য এ ঋণটি নিতে চাচ্ছি।

 

এ ঋণগুলো প্রতি মাসের কিস্তিতে কয়েক বছরে শোধ হবে, শতকরা সামান্য করে বাড়তি টাকা নিবে।

 

এ বাড়তি টাকাটি কি সুদ হবে? ?

 

অবশ্যই এটি সুদ হবে। এবং এর বিকল্প কিছু আপনাকে খুঁজতে হবে।

 

প্রয়োজনে আপনাকে বাড়ির মালামাল কেউ কিনে দিল এবং সেটা যে দামে কিনে দিলেন তার চেয়ে বেশি দাম নিলেন।

 

সরকারী ঋণ নিয়ে বাসা করা কি হালাল ?

এভাবে আপনি করতে পারেন, কিন্তু আপনি যদি নির্দিষ্ট সুদ দিয়ে থাকেন; নির্দিষ্ট মুনাফা দেন প্রতি মাসে মাসে বা প্রতি বছর বছর।

 

তাহলে সেক্ষেত্রে সেটা অবশ্যই সুদ হবে এবং সেই সুদি লোন নেয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না।

 

অনেক সুযোগ-সুবিধা আমরা অনেকেই পাই, যারা প্রবাসে থাকেন অমুসলিম প্রধান অনেক উন্নত দেশে অনেক ভাইয়েরা থাকেন।

সে সমস্ত দেশগুলোতে দেখা যায় যে এ ধরণের সুদি লোনের ভিত্তিতে বাড়ি কেনা খুব সহজ একটি কাজ হয়।

 

অথচ নিজে টাকা জমিয়ে বাড়ি কেনা অসম্ভবের মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

 

শুধুমাত্র ভাড়া দিয়ে গেলাম, শুধুমাত্র সেই ভাড়ার টাকাটাই কিস্তি দিয়ে গেলে বাড়ির মালিক খুঁজে পাচ্ছি।

 

এরকম সুদের লোনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূল্যের বাড়ির মালিক হয়ে যাওয়ার যে হাতছানি আছে- সেটা আমরা অনেকেই এভোয়েড করতে পারি না।

 

এবং আল্লাহর ভয় সেখানে জাগ্রত হলেও আমরা অনেকেই সেটাকে এড়িয়ে গিয়ে এ সমস্ত হারামে লিপ্ত হয়ে যাই।

 

আল্লাহ তা’আলার ভয় আমাদের অন্তরে থাকা উচিৎ এবং এ ধরণের হারাম- এটা থেকে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই আরো সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।

Leave a Comment