হাজবেন্ড বেডরুমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে?

হাজবেন্ড বেডরুমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে; শুধু বেডরুম নয়, সব রুমে। সে দেশের বাইরে থাকে। আমার বাসায় আমার বোনেরা এলে সমস্যা হয়। সবসময় তো সতর্ক থাকতে পারিনা।

 

কাপড়-চোপড় সবসময় গোছালো নাও থাকতে পারে।

 

এতে কি আমার গুনাহ হবে? ?

 

আপনার বোন আপনার বাসায় আসেন, আরো অন্যান্য মেয়েরা আসতে পারেন।

 

সে বিষয়টি আপনার স্বামীর সাথে আলোচনা করা উচিৎ যে, তারা যখন আসে ঐ সময়টাতে তুমি ক্যামেরা অফ করে রাখবে/ আমি ক্যামেরা অফ করে রাখবো।

 

এবং প্রয়োজনে তাকে আপনি জানাতে পারেন, তার অনুমতি নিয়ে এটি আপনি করতে পারেন।

 

তিনি যেটি করেছেন সেটি নানা কারণে হতে পারে। চুরি/ইত্যাদি ঠেকাবার জন্য হতে পারে বা অন্য কোনো সৎ উদ্দেশ্যেও হতে পারে।

 

যদি স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের কারণে এটি করে থাকেন তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক অধ্যায়।

 

হাজবেন্ড বেডরুমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে

এতোটা সন্দেহপ্রবণ হওয়া কিংবা স্ত্রীরও এতোটা আস্থা স্বামীর কাছে না থাকা সেটা মোটেও কাম্য হতে পারে না।

 

বাকী কথা হলো যে, অন্য মেয়েরা যারা আসেন তাদের প্রাইভেসিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

তাদের পর্দা যদি লঙ্ঘন হয় সেক্ষেত্রে আপনার তাদেরকে আগেই জানাতে হবে যে, আমার রুমে সিসি ক্যামেরা আছে- যাতে করে তাদের কোনো প্রকার প্রাইভেসি লঙ্ঘন না হয়।

 

আপনার স্বামীকে আপনি ম্যানেজ করে তারা ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরা অফ করার ব্যবস্থা করবেন কিংবা যারা গেস্ট আসবে তাদেরকে জানিয়ে রাখবেন- তারা যেন তাদের সাবধানতা অবলম্বন করেন।

 

এবং এ বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপোরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা অর্জন করা।

 

আস্থার সংকটকে দূর করা এবং এ জাতীয় বিষয়গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

এজন্য আসলে দীর্ঘদিন যদি স্বামী প্রবাসে থাকেন, তাহলে স্ত্রীর সাথে এ ধরণের সমস্যাগুলো অনেক বেশি হয়।

এবং এগুলো দূর করার জন্য আসলে কাছাকাছি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

এজন্য খুব দীর্ঘসময় প্রবাসে থাকাটাকে শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ভালো মনে করি না।

Leave a Comment