স্ত্রী ছাড়া সহবাস করা যাবে কার সাথে, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর।
ইসলামে, একজন পুরুষের চারজন স্ত্রী রাখা বৈধ। তবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না, যদি না তার স্ত্রী তার অনুমতি দেয়।
হিন্দুধর্মে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী রাখা বৈধ নয়। তবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে, যদি না তার স্ত্রী তার অনুমতি দেয়।
খ্রিস্টধর্মে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী রাখা বৈধ নয়। তবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না, যদি না তার স্ত্রী তার অনুমতি দেয়।
বৌদ্ধধর্মে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী রাখা বৈধ নয়। তবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না, যদি না তার স্ত্রী তার অনুমতি দেয়।
বাংলাদেশে, বৈবাহিক চুক্তির মাধ্যমে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে। তবে, এই চুক্তিটি আইনিভাবে স্বীকৃত নয়।
ব্যক্তিগত বিশ্বাসের দিক থেকে, অনেক মানুষ মনে করেন যে একজন পুরুষের শুধুমাত্র তার স্ত্রীর সাথেই যৌন সম্পর্ক রাখা উচিত। তারা মনে করেন যে অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখা বেআইনি এবং অনৈতিক।
অন্যদিকে, অনেক মানুষ মনে করেন যে একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারে, যদি না তার স্ত্রী তার অনুমতি দেয়। তারা মনে করেন যে এটি একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এতে অন্য কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
উপসংহারে, স্ত্রী ছাড়া করা যাবে কার সাথে, এই প্রশ্নের কোনো একক উত্তর নেই। এটি নির্ভর করে ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর।
স্ত্রী ছাড়া সহবাস করা যাবে কার সাথে
ইসলামে, একজন পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া অন্য যেকোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা অবৈধ। এর মধ্যে রয়েছে:
- সম্পর্কিত নারী, যেমন:
- মা
- মেয়ে
- বোন
- খালা
- ফুফু
- ভাতিজি
- ভাগ্নি
- সম্পর্কিত পুরুষের স্ত্রী, যেমন:
- সৎ মা
- সৎ মেয়ে
- সৎ বোন
- সৎ খালা
- সৎ ফুফু
- সৎ ভাতিজি
- সৎ ভাগ্নি
- যে নারী তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নয়, যেমন:
- বিবাহিত নারী
- বিধবা নারী
- তালাকপ্রাপ্ত নারী
- অপরিচিত নারী
ইসলামে, একজন পুরুষ তার দাসী বা যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
তবে, এই সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে। দাসী বা যুদ্ধবন্দী নারীকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে এবং তাকে যথাযথভাবে বিবাহ করতে হবে।
ইসলামে, অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে ব্যভিচার বলা হয়।
ব্যভিচার একটি গুরুতর পাপ যা শাস্তিযোগ্য।
ইসলামে, বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক যাকে সম্মান করা উচিত।
বিবাহের উদ্দেশ্য হল পারস্পরিক ভালোবাসা, সমর্থন এবং সন্তানসন্ততি লালনপালন।