যে খাবারে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়

যে খাবারে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়? মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য কিছু খাবারের সাহায্যে করা যায়। নিম্নলিখিত খাবারগুলি মায়ের দুধের প্রজনন এবং প্রস্তর ক্ষমতাকে বৃদ্ধি দেবার সাথে সাথে ব্রেস্টফিডিং সারসংক্রান্ত প্রবলতা বাড়াতে পারে:

 

ওটস্

ওটস্ মায়ের দুধের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রস্তর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দুধের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত নাশকত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং মায়ের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করে।

 

লিনসিড বা আলসি বীজ

লিনসিড বা আলসি বীজ মায়ের বুকের দুধের প্রজনন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মৌলিক প্রোটিন, আমিনো এসিড এবং বিটাকারটিনের ভালো উৎস হিসাবে পরিচিত।

 

পালং শাক

পালং শাকে শিউলিয়ালিক অ্যাসিড এবং বিটাকারটিনের উৎস হওয়ায় এটি মায়ের দুধের পর্যাপ্ত মাত্রা ও গুণমান বৃদ্ধি করে।

 

ব্রোকলি

ব্রোকলি মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষমতা আরোহন করে এবং পর্যাপ্ত শিউলিয়ালিক অ্যাসিড প্রদান করে।

 

শাক সবজি

পালং শাকের মতোই বিভিন্ন শাক সবজি মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং প্রস্তর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মায়ের দুধের পরিমাণ ও প্রস্তর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিশ্চিতভাবে মায়ের পুরোপুরি আহারের পরিমান, পুষ্টি স্তর ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা উচিত।

যে খাবারে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়

মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে, কারণ এদের উপর দুধের প্রভাব হয়ে থাকে। সেই সাথে মায়ের ডায়েটিশিয়ান বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির চিকিৎসা

বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য কিছু চিকিৎসা ও সাহায্যিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যা মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। নিম্নে কিছু চিকিৎসা উল্লেখ করা হলঃ

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির চিকিৎসা

ব্রেস্টফিডিং

সবচেয়ে প্রাথমিক ও প্রভাবশালী উপায় হলো ব্রেস্টফিডিং করা। মায়ের ব্রেস্টফিডিং করার জন্য নিয়মিতভাবে স্তন চুষতে হবে, যাতে আদেশ দেওয়া হবে যে দুধের প্রস্তর বাড়বে। প্রস্তুতি পানি, পুষ্টির আহার সেবন ও বিশ্রাম সার্বিক গুরুত্ব রাখা উচিত। ব্রেস্টফিডিং সময়ে সুস্থ ও নিরামিষভাবে খাওয়ানো দরকার।

 

পাওয়ার ফুড

মায়ের পুরোপুরি ওষুধ থেকে পরিমাণগত দুধ পাওয়ার জন্য ডাক্তার পরামর্শ নিতে পারেন। কিছু পাওয়ার ফুড যেমন ডোম্পের দুধ, বাঁশের কাঠের রস, মাছের তেল এবং কাঠবিড়াল মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করতে পারে।

 

ডাক্তারের পরামর্শ

যদি মায়ের দুধের পরিমাণ প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে বা মায়ের দুধ না থাকলে বাড়তি প্রয়োজন হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার মায়ের স্বাস্থ্য এবং পুরোপুরি পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উপচার বা প্রেসক্রিপশন দেবেন।

যে খাবারে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়

উপরে উল্লেখিত সকল চিকিৎসা বা সাহায্যিক পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে, মায়ের ডাক্তারের সাথে সম্পূর্ণ পরামর্শ এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত। ডাক্তার মায়ের স্বাস্থ্যমন্ডল পরীক্ষা করে দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন।

শিশু মায়ের বুকের দুধ কম পাচ্ছে বুঝার উপায় কি?

শিশু মায়ের বুকের দুধ কম পাচ্ছে বুঝার উপায় কি? মায়ের বুকের দুধ কম পাওয়ার উপায় নিম্নরূপ হতে পারে:

 

শিশু ব্রেস্টফিডিং

একটি সাধারণ কারণ যেখানে শিশু মায়ের দুধ কম পাচ্ছে তা হতে পারে শিশুর সঠিকভাবে ব্রেস্টফিডিং না করা। মায়ের স্তন সঠিক ভাবে চুষে নিশ্চিত হওয়া উচিত। শিশুটি সঠিক পদ্ধতিতে স্তন চুষতে পারছে কিনা এবং স্তনের সংকোচন সঠিকভাবে ঘটছে কিনা যাচাই করা উচিত।

প্রয়োজনে ব্রেস্টফিডিং পদ্ধতি বা স্থিতি সম্পর্কে একজন স্থানীয় ব্রেস্টফিডিং কাউন্সেলর বা প্রশিক্ষিত স্তনপান পরামর্শকারীর সাথে আলোচনা করা উচিত।

 

উপযুক্ত খাবার

মায়ের স্বাস্থ্যমন্ডল এবং পুষ্টিকর আহার বৃদ্ধি করার জন্য উপযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। শিশুকে প্রয়োজনমতো হিসেবে মহাদেশের সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা উচিত, যেমন মাংস, মাছ, ডাল, মসুর ডাল, শাক সবজি, ফল ইত্যাদি। শিশুকে স্তনপানের পর যথাযথ পরিমাণে পানি দেওয়া উচিত।

 

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

মায়ের শরীর শিশুর দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে যদি মায়েকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া হয়। শিশুর সাথে স্নান করানো, তাপমাত্রা নির্বাচন করা, সম্পূর্ণ নিদ্রা ও স্থানান্তর এমনকি শিশুর চুল পরিষ্কার করার মতো উপায় মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম নিশ্চিত করতে পারে।

 

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

স্ট্রেস ও আবেগ শিশুর দুধের পরিমাণ প্রভাবিত করতে পারে। তাই মায়ের স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ও সমর্থন প্রদান করা উচিত।

 

যে খাবারে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়

শিশুর স্বাস্থ্য ও দুধের পরিমাণ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে, বা শিশু যদি সম্পূর্ণভাবে পুষ্টিকর আহার গ্রহণ করতে সক্ষম না হয়, তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর্মী শিশুর স্বাস্থ্য পরিদর্শন করবেন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তনশীল পরামর্শ প্রদান করবেন।

Leave a Comment