চিঠি লেখার নিয়ম ।
আমাদের ব্যবহারিক জীবনে চিঠিপত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তিগত ও সামাজিক নানা প্রযােজনে আমাদেরকে চিঠি লিখতে হয়। আত্মীয় – স্বজন, বন্ধুর সঙ্গে যােগাযোেগ এবং সংবাদ আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে চিঠির রয়েছে গুরুত্বূপূর্ণ ভূমিকা ।
Don’t miss, সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থান
অফিস-আদালত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজ অনেকাংশে চিঠিপত্রের ওপরই নির্ভরশীল। সাম্প্রতিককালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোেগের সুযোগ বৃস্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত চিঠি লেখার গুরুত্ব কিছুটা কমেছে।
কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য চিঠি লেখার প্রয়োজন এতটুকুও কমেনি । চিঠি লেখার রীতি আমাদের সংস্কৃতির এক আনুষঙ্গিক উপাদান । যোগাযোগ এবং ভাব-বিনিময়ের এক অনুপম মাধ্যম হিসেবে চিঠি লেখার এ রীতি অব্যাহত থাকবে ।
Read More,
কাগজ আবিষ্কারের আগে মানুষ গাছের পাতায়, গাছের ছালে, চামড়ায়, ধাতব পাতে লিখত । পাতায় লিখত বলেই এর নাম হয় “পত্র“।
সুন্দর, শুদ্ধ চিঠির মাধ্যমে মানুষের শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তা, রুচি ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে ।
সুলিখিত চিঠি অনেক সময় উন্নত সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় । যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছিন্নপত্র’ ।
চিঠি কত প্রকার
চিঠির প্রকারভেদ বিষয়বস্তু, প্রসঙ্গা ও কাঠামাে অনুসারে বিভিন্ন ধরনের পত্রকে নিম্নলিখিত শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। :
- ব্যক্তিগত চিঠি ।
- আবেদনপত্র বা দরখাস্ত ।
- সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য চিঠি ।
- মানপত্র ও স্মারকলিপি ।
- বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িকপত্র ।
- আমন্ত্রণ বা নিমন্ত্রণপত্র ।
চিঠি লেখায় নিয়ম
চিঠি যে ধরনেরই হােক না কেন, তা লেখার সময় কয়েকটি দিক বিবেচনায় রাখা দরকার :
- বিষয়বস্তৃ বা প্রসঙ্গের ওপর চিঠির কাঠামাে নির্ভর করে। ব্যক্রিগত চিঠি আর ব্যবসায়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই এক – একরকম পত্রের জন্য এক – একরকম পদ্ধতি, ভাষাভঙ্গি অনুসরণ করতে হয়।
- চিঠির মাধ্যমে মানষের রচি ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। তাই অস্পষ্ট এবং কাটাকাটি যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতকতা অবলম্বন করা উচিত । নির্ভুল বানান, যথাযথ শব্দ এবং সহজ বাক্য ব্যবহারের ওপর চিঠির মান নির্ভর করে। ভুল বানান, এলামেলাে বাক্য অনেক সময় বিভ্রান্তি তৈরি করে । তা পত্রলেখক সম্পর্কে বিরৃপ ধারণার জন্ম দিতে পারে ।
- চিঠি নিজের হওয়া চাই। অর্থাৎ নিজস্ব অভিজ্ঞবতা, অনুভূতি, অভিরুচি, ব্যক্তিত্বের সুস্পষ্ট ছাপ থাকতে হবে । চিঠিতে নিজস্বতা আনা উচিত।
ব্যক্তিগত চিঠির বিভিন্ন অংশ
একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে বেশ কয়েকটি অংশে বিভক্ত ।
সেগুলো হলো:
- মঙ্গল সূচক শব্দ
আগে চিঠির উপরে বিভিন্ন মঙ্গলসূচক শব্দ লেখা হতো এটি ধর্ম অনুযায়ী আলাদা আলাদা হতো কিন্তু এখন অনেকেই এ বিষয়টি লেখেনা
- স্থান ও তারিখ
তারপরে চিঠিতে চিঠি লেখার স্থান ও যখন লেখা হয়েছিল সেদিনের তারিখ লিখতে হয় ।
- সম্মোধন
চিঠির প্রাপক এর সাথে আপনার সম্পর্ক অনুযায়ী একটি সুন্দর সম্বোধক শব্দ লিখবেন । যেমন: প্রিয়, সুধী, মাননীয়, স্নেহের ইত্যাদি ।
- মূল বক্তব্য
এবারে চিঠির মূল বক্তব্য লিখবেন ।
- নাম ও স্বাক্ষর
সর্বশেষে আপনার নাম এবং স্বাক্ষর দিতে হবে ।
শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি চিঠি কত প্রকার এবং কি কি এবং ব্যক্তিগত চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।
এরকম আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।