wbc কমে গেলে কি হয়? বাংলায় সম্পূর্ণ

WBC কমে গেলে কি হয়? – বাংলায় সম্পূর্ণ WBC কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই নিবন্ধে WBC কমে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

 

১. WBC কী?

২. WBC কমে গেলে কি হয়?

৩. WBC কমে যাওয়ার কারণ

৪. WBC কমে যাওয়ার লক্ষণ

৫. WBC কমে যাওয়ার নির্ণয়

৬. WBC কমে যাওয়ার চিকিৎসা

৭. WBC কমে যাওয়া প্রতিরোধ

৮. এই WBC কমে যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

 

WBC কমে গেলে কি হয়?

WBC বা White Blood Cell বা শ্বেত রক্তকণিকা হল রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শরীরে সংক্রমণ রোধে WBC গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। WBC কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

এই নিবন্ধে WBC কমে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

 

WBC কী?

WBC হল রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীরে সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। WBC বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন—

  • Neutrophils: Neutrophils হল WBC এর সবচেয়ে প্রচলিত ধরন। এটি সংক্রমণের স্থানে প্রথমে পৌঁছে সংক্রামক জীবাণুকে ধ্বংস করে।
  • Lymphocytes: Lymphocytes শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শরীরে বিদেশী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
  • Monocytes: Monocytes সংক্রমণের স্থানে পৌঁছে সংক্রামক জীবাণু এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে ধ্বংস করে।
  • Eosinophils: Eosinophils পরজীবী সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির সঙ্গে লড়াই করে।
  • Basophils: Basophils শরীরে রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা রক্তনালীগুলি প্রসারিত করতে এবং সংক্রমণের স্থানে WBC এর প্রবেশ সহজ করতে সাহায্য করে।

তাই এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেন।

 

WBC কমে গেলে কি হয়?

WBC কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। WBC কমে গেলে নীচের উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে—

  • নিয়মিত জ্বর আসা
  • শরীর দুর্বল লাগা
  • অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
  • ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
  • মুখে, গলায় বা ত্বকে ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া
  • দ্রুত ও দুর্বল নাড়ি চলা
  • श्वাস নিতে অসুবিধা হওয়া

তাই এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেন।

 

WBC কমে যাওয়ার কারণ

WBC কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যেমন—

  • রোগ: কিছু রোগ WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে, যেমন—
    • ক্যান্সার: ক্যান্সারের চিকিৎসার ফলে WBC কমে যেতে পারে।
    • অটোইমিউন ডিজিজ: অটোইমিউন ডিজিজে শরীরের নিজের কোষগুলিকে আক্রমণ করা হয়, যার ফলে WBC কমে যেতে পারে।
    • ইনফেকশন: কিছু সংক্রমণ, যেমন— HIV, হেপাটাইটিস সি, এবং ম্যালেরিয়া, WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
  • ঔষধ: কিছু ঔষধ WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে, যেমন—
    • কেমোথেরাপি: ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কেমোথেরাপি WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
    • রেডিওথেরাপি: ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিওথেরাপি WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
    • স্টেরয়েড: স্টেরয়েডের কিছু প্রকার WBC কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

তাই এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেন।

যে খাবার রক্তশূন্যতা দূর করে

WBC কমে গেলে কি হয়?

  • অন্যান্য কারণ: অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে—
    • ভিটামিন বি-12 এবং ফলিক অ্যাসিডের অভাব
    • থাইরয়েডের অভাব
    • কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন— কিডনি রোগ এবং লিভার রোগ
    • অ্যালকোহল এবং ড্রাগের অপব্যবহার
    • অতিরিক্ত পরিশ্রম
    • দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস

তাই এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেন।

 

WBC কমে যাওয়ার লক্ষণ

WBC কমে গেলে নীচের উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে—

  • নিয়মিত জ্বর আসা
  • শরীর দুর্বল লাগা
  • অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
  • ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
  • মুখে, গলায় বা ত্বকে ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া
  • দ্রুত ও দুর্বল নাড়ি চলা
  • শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া

তাই এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেন।

 

WBC কমে যাওয়ার নির্ণয়

WBC কমে যাওয়ার নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়।

এই পরীক্ষায় WBC এর সংখ্যা এবং বিভিন্ন ধরনের WBC এর অনুপাত পরিমাপ করা হয়।

 

WBC কমে যাওয়ার চিকিৎসা

WBC কমে যাওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর।

কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসায় নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—

 

WBC কমে গেলে কি হয়?

  • ঔষধ: কিছু ক্ষেত্রে, WBC বাড়ানোর জন্য ঔষধ দেওয়া হয়।
  • রক্ত পরিসঞ্চালন: কিছু ক্ষেত্রে, WBC সমৃদ্ধ রক্ত ​​পরিসঞ্চালন করা হয়।
  • অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে, সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন কোনও অসুস্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ বা টিস্যু অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন হতে পারে।

তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

WBC কমে যাওয়া প্রতিরোধ

WBC কমে যাওয়া প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিতগুলি করা যেতে পারে—

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া WBC এর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো WBC এর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম WBC এর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • স্ট্রেস কম করুন: স্ট্রেস WBC এর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা WBC কমে যাওয়ার মতো কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

 

WBC কমে যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

WBC কমে যাওয়া কি গুরুতর?

তাহলে  WBC কমে যাওয়া গুরুতর হতে পারে, কারণ এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

যদি আপনার WBC কমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ থাকে

 

WBC কমে যাওয়ার চিকিৎসা কি?

WBC কমে যাওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর।

কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসায় নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—

  • ঔষধ: কিছু ক্ষেত্রে, WBC বাড়ানোর জন্য ঔষধ দেওয়া হয়।
  • রক্ত পরিসঞ্চালন: কিছু ক্ষেত্রে, WBC সমৃদ্ধ রক্ত ​​পরিসঞ্চালন করা হয়।
  • অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে, সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন কোনও অসুস্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ বা টিস্যু অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন হতে পারে।

 

 WBC কমে যাওয়ার জন্য কোন খাবারগুলি খাওয়া উচিত?

WBC কমে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নলিখিত খাবারগুলি WBC এর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:

  • প্রোটিন: প্রোটিন WBC তৈরিতে সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডাল।
  • ভিটামিন বি-12 এবং ফলিক অ্যাসিড: ভিটামিন বি-12 এবং ফলিক অ্যাসিড WBC তৈরিতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি-12 সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত পণ্য। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম, বীজ এবং সবুজ শাকসবজি।
  • ভিটামিন সি: ভিটামিন সি WBC এর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, সবজি এবং টমেটো সস।
  • লোহা: লোহা WBC তৈরিতে সাহায্য করে। লোহা সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, শাকসবজি এবং বাদাম।

 

WBC কমে যাওয়ার জন্য কোন খাবারগুলি এড়ানো উচিত?

WBC কমে যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এবং অ্যালকোহল এড়ানো উচিত।

এই খাবারগুলি WBC এর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

 

WBC কমে যাওয়ার জন্য কোন ওষুধগুলি এড়ানো উচিত?

 কিছু ওষুধ WBC কমাতে পারে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, স্টেরয়েড এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক।

তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

WBC কমে গেলে কি হয়?

যদি আপনার WBC কমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে আপনার যে কোনও ওষুধ গ্রহণ সম্পর্কে কথা বলুন।

 

WBC কমে যাওয়ার জন্য কোন জীবনধারা পরিবর্তনগুলি করা উচিত?

WBC কমে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত জীবনধারা পরিবর্তনগুলি WBC কমে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো WBC তৈরিতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম WBC তৈরিতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।
  • স্ট্রেস কম করুন: স্ট্রেস WBC এর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা WBC কমে যাওয়ার মতো কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

 

উপসংহার

WBC কমে যাওয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি আপনার WBC কমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

শ্বেত রক্তকণিকা কমে গেলে কি হয়

শ্বেত রক্তকণিকা কমে গেলে তাকে লিউকোপেনিয়া বলা হয়। শ্বেত রক্তকণিকা হলো অনাক্রম্যতন্ত্রের কোষ যা সংক্রামক রোগ ও বাহ্যিক আক্রমণকারী বস্তু থেকে দেহকে রক্ষার কাজে জড়িত। শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে গেলে দেহ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারায়, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিউকোপেনিয়ার লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • জ্বর
  • সর্দি-কাশি
  • গলা ব্যথা
  • মাথাব্যথা
  • পেশী ব্যথা
  • ক্লান্তি
  • দুর্বলতা
  • ক্ষত নিরাময়ের ধীরগতি
  • ঘন ঘন সংক্রমণ

এখানে লিউকোপেনিয়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • নির্দিষ্ট রোগ, যেমন ক্যান্সার, লুপাস, এবং থাইরয়েড রোগ
  • অটোইমিউন রোগ
  • রক্তের ব্যাধি
  • রেডিয়েশন থেরাপি
  • কিছু সংক্রমণ, যেমন হেপাটাইটিস এবং এইচআইভি/এইডস

লিউকোপেনিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর।

কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না এবং শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • ঔষধ যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়
  • রক্তের ট্রান্সফিউশন
  • রোগের চিকিৎসা যা লিউকোপেনিয়ার কারণ

লিউকোপেনিয়া একটি গুরুতর অবস্থা যা গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই, যদি আপনার শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা লিউকোপেনিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:

  • আপনার ডাক্তারের সাথে আপনার ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলুন।
  • যদি আপনার কোনো সংক্রমণ হয়, তাহলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিত্সা করুন।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।

 

 

Wbc বেশি হলে কি হয়

Wbc বা white blood cell count হলো শরীরের রক্তের মধ্যে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা।

শ্বেত রক্ত কণিকা হলো অনাক্রম্যতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করে। Wbc এর স্বাভাবিক পরিসর হলো 4,500 থেকে 11,000 কোষ প্রতি মাইক্রোলিটর রক্ত। Wbc এর মাত্রা যদি 11,000 এর বেশি হয় তাহলে তাকে leukocytosis বলা হয়।

 

Wbc বেশি হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে,

যার মধ্যে রয়েছে:

    • সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর দ্বারা সংক্রমণের কারণে Wbc এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
    • অটোইমিউন রোগ: অটোইমিউন রোগ হলো এমন রোগ যেখানে শরীরের নিজের কোষগুলিকে বাইরের আক্রমণকারী হিসাবে ভুল করে। এই রোগগুলির কারণেও Wbc এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
    • ক্যান্সার: রক্তের ক্যান্সার, যেমন লিউকেমিয়া, Wbc এর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
    • অন্যান্য অবস্থা: কিছু ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড, এবং কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন ডায়ালাইসিস, Wbc এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

 

Wbc বেশি হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:

      • জ্বর
      • ঠান্ডা লাগা
      • কাশি
      • গলাব্যথা
      • শরীরে ব্যথা
      • ক্লান্তি
      • শ্বাসকষ্ট
      • পেটে ব্যথা

Wbc বেশি হলে ডাক্তার রক্তের আরও পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণের জন্য পরীক্ষা।

যদি সংক্রমণ ধরা পড়ে তাহলে ডাক্তার সংক্রমণের চিকিৎসা করার জন্য ওষুধ প্রদান করবেন। যদি অটোইমিউন রোগ বা ক্যান্সারের মতো অন্যান্য অবস্থার কারণে Wbc বেশি হয় তাহলে ডাক্তার সেই অবস্থার চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসা প্রদান করবেন।

রক্তশূন্যতায় কি খাওয়া উচিত

Wbc বেশি হওয়ার চিকিৎসার লক্ষ্য হলো মূল কারণটি চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা করা। যদি সংক্রমণ হয় তাহলে সংক্রমণটি নিরাময় করার জন্য ওষুধ প্রদান করা হবে।

যদি অটোইমিউন রোগ হয় তাহলে অটোইমিউন প্রতিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ প্রদান করা হবে। যদি ক্যান্সার হয় তাহলে ক্যান্সারের চিকিৎসা করার জন্য কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা অস্ত্রোপচার করা হবে।

Wbc বেশি হওয়ার চিকিৎসার ফলাফল মূল কারণটির উপর নির্ভর করে। যদি সংক্রমণ হয় তাহলে সংক্রমণটি নিরাময় করা হলে Wbc এর মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

যদি অটোইমিউন রোগ হয় তাহলে ওষুধের মাধ্যমে অটোইমিউন প্রতিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যদি ক্যান্সার হয় তাহলে ক্যান্সারের চিকিৎসার ফলাফল রোগের ধরন এবং পর্যায়ের উপর নির্ভর করে।

 

Neutrophil বেড়ে গেলে কি হয়

নিউট্রোফিল হলো শ্বেত রক্তকণিকার একটি প্রকার যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিউট্রোফিলের সংখ্যা রক্তে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত হয়, তবে যদি নিউট্রোফিলের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটিকে নিউট্রোফিলিয়া বলে। নিউট্রোফিলিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • সংক্রমণ: সংক্রমণের ক্ষেত্রে, শরীর প্রদাহ প্রতিক্রিয়া শুরু করে যা নিউট্রোফিলের উৎপাদন বাড়ায়।
  • প্রদাহ: প্রদাহের যেকোনো কারণ, যেমন আঘাত, অস্ত্রোপচার, বা সংক্রমণ, নিউট্রোফিলিয়া হতে পারে।
  • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড, নিউট্রোফিলিয়া হতে পারে।
  • কিছু রোগ: কিছু রোগ, যেমন লিউকেমিয়া, নিউট্রোফিলিয়া হতে পারে।

নিউট্রোফিলিয়া সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট লক্ষণ বা উপসর্গ সৃষ্টি করে না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, নিউট্রোফিলিয়া নিম্নলিখিত লক্ষণ বা উপসর্গগুলির কারণ হতে পারে:

  • জ্বর
  • ক্লান্তি
  • শীত অনুভব করা
  • মাথাব্যথা
  • পেশী ব্যথা
  • গলা ব্যথা

এখানে  নিউট্রোফিলিয়া সাধারণত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি নিউট্রোফিলিয়া একটি গুরুতর সংক্রমণের কারণে হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

নিউট্রোফিলিয়া নির্ণয়ের জন্য, একজন ডাক্তার একটি রক্ত ​​পরীক্ষা করবেন।

রক্ত ​​পরীক্ষায় নিউট্রোফিলের সংখ্যা পরিমাপ করা হয়। যদি নিউট্রোফিলের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ডাক্তার নিউট্রোফিলিয়ার কারণ নির্ধারণের জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

নিউট্রোফিলিয়া একটি সাধারণ অবস্থা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, নিউট্রোফিলিয়া কোনও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ নয়। তবে, যদি নিউট্রোফিলিয়া গুরুতর সংক্রমণের কারণে হয়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

 

Wbc কমে গেলে কি হয়

WBC বা white blood cells হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এগুলি রক্তের মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত হয় এবং সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। WBC এর মাত্রা কমে গেলে, শরীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা হারাতে পারে।

WBC কমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • সংক্রমণ, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক
  • নির্দিষ্ট ওষুধ, যেমন ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ
  • অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের কোষগুলিকে আক্রমণ করে
  • হাড়ের মজ্জার রোগ, যেখানে WBC তৈরি হয়

এখানে  WBC কমে গেলে যে লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:

  • জ্বর
  • ঠান্ডা লাগা
  • গলা ব্যথা
  • সর্দি
  • ক্ষত বা কাটা থেকে রক্তপাত বন্ধ না হওয়া
  • দুর্বলতা
  • ক্লান্তি
  • মাথা ঘোরা

WBC কমে গেলে ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করবেন। রক্ত পরীক্ষায় WBC এর মাত্রা এবং বিভিন্ন ধরনের WBC এর অনুপাত পরিমাপ করা হয়।

WBC কমে গেলে চিকিৎসার লক্ষ্য হল সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা এবং WBC এর মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। চিকিৎসার ধরন নির্ভর করবে WBC কমে যাওয়ার কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর।

সংক্রমণের কারণে WBC কমে গেলে, সংক্রমণটির চিকিৎসা করা হয়। নির্দিষ্ট ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, সংক্রমণটি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

ওষুধের কারণে WBC কমে গেলে, ওষুধের মাত্রা কমানো বা বন্ধ করা যেতে পারে।

অটোইমিউন রোগ বা হাড়ের মজ্জার রোগের কারণে WBC কমে গেলে, আরও বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

WBC কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন এড়ানো
  • সঠিকভাবে হাত ধোয়া

WBC কমে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার WBC কমে যাওয়ার লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।

 

Neutrophil কমে গেলে কি হয়

Neutrophil হল এক ধরনের শ্বেত রক্ত কণিকা যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যখন Neutrophil কমে যায়, তখন শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।

এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ফুসফুসের সংক্রমণ, যেমন নিউমোনিয়া
  • ত্বকের সংক্রমণ, যেমন ফোড়া
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ
  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ
  • ব্যাকটেরিয়াল সেপসিস

Neutrophil কমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে,

যার মধ্যে রয়েছে:

  • ক্যান্সার থেরাপি
  • কিছু ওষুধ, যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন অ্যাজমা বা সিস্টিক ফাইব্রোসিস
  • জিনগত অবস্থা

Neutrophil কমে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • জ্বর
  • ক্লান্তি
  • শ্বাসকষ্ট
  • মাথাব্যথা
  • পেশী ব্যথা
  • গলা ব্যথা
  • ক্ষত নিরাময়ের ধীরগতি

Neutrophil কমে যাওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর।

যদি Neutrophil কমে যাওয়ার কারণ ক্যান্সার থেরাপি বা ওষুধ হয়, তাহলে এই কারণগুলি বন্ধ করা বা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যদি Neutrophil কমে যাওয়ার কারণ একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হয়, তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে। যদি Neutrophil কমে যাওয়ার কারণ জিনগত অবস্থা হয়, তাহলে কোন চিকিৎসা নেই।

Neutrophil কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকে রক্ষা করা
  • ধূমপান করা এড়ানো

Neutrophil কমে যাওয়া একটি গুরুতর অবস্থা যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।

যদি আপনার Neutrophil কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে কোন রোগটি হয়

রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে লেউকোসাইটোসিস রোগ হয়। এই রোগে শ্বেত কণিকার সংখ্যা ১০,০০০/মিলিলিটারের বেশি হয়ে যায়। শ্বেত কণিকা হলো রক্তে থাকা একটি ধরণের কোষ যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। লেউকোসাইটোসিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

  • সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমণ হলে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • ক্যান্সার: রক্তের ক্যান্সার, যেমন লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, বা মায়োলোমা, হলে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, এবং কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অন্যান্য কারণ: কিছু নির্দিষ্ট রোগ, যেমন টাইফয়েড জ্বর, ম্যালেরিয়া, এবং থ্যালাসেমিয়া, শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

লেউকোসাইটোসিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি রোগের কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • জ্বর
  • শ্বাসকষ্ট
  • মাথাব্যথা
  • ঘাম
  • ক্লান্তি
  • ক্ষুধামন্দা
  • পেটে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব
  • বমি

লেউকোসাইটোসিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় শ্বেত কণিকার সংখ্যা এবং বিভিন্ন ধরনের শ্বেত কণিকার অনুপাত নির্ণয় করা হয়।

লেউকোসাইটোসিসের চিকিৎসা রোগের কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সংক্রমণের কারণে হলে সংক্রমণটি সারানো হয়। ক্যান্সারের কারণে হলে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। ওষুধের কারণে হলে ওষুধটি বন্ধ করা বা অন্য ওষুধে পরিবর্তন করা হয়।

লেউকোসাইটোসিস একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

 

শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে গেলে কি রোগ হয়

না, শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে গেলে সবসময়ই রোগ হয় না। অনেক সময় সংক্রমণের কারণে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে যাওয়া একটি ভালো লক্ষণ, কারণ এটি শরীরের সংক্রমণ মোকাবেলার চেষ্টা করছে।

তবে, কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া একটি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যেসব রোগে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যায় তার মধ্যে রয়েছে:

  • লিউকেমিয়া, যা রক্তের ক্যান্সার
  • অ্যালার্জি
  • সংক্রমণ
  • অস্থিমজ্জার রোগ
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:

  • জ্বর
  • ঘাম
  • ক্লান্তি
  • মাথাব্যথা
  • পেশী ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • ক্ষুধামন্দা
  • ওজন হ্রাস

যদি আপনার শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যায় এবং আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার রক্তের পরীক্ষা করে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ নির্ণয় করতে পারেন।

শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ নির্ণয়ের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা করা হয়।

সংক্রমণের কারণে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে, সংক্রমণটি নিরাময় করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। লিউকেমিয়া বা অন্যান্য রক্তের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা অস্ত্রোপচারের মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

 

শ্বেত রক্তকণিকা কমানোর উপায়

শ্বেত রক্তকণিকা কমানোর জন্য অনেকগুলি উপায় রয়েছে,

যার মধ্যে রয়েছে:

  • ওষুধ: কিছু ওষুধ শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমাতে পারে। এই ওষুধগুলি সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলি অন্যান্য অবস্থার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে যা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
  • রেডিয়েশন থেরাপি: রেডিয়েশন থেরাপি শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমাতে পারে। এটি সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে এটি অন্যান্য অবস্থার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে যা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
  • বিকিরণ: কিছু ধরণের বিকিরণ শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমাতে পারে। এই বিকিরণ সাধারণত চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় না।
  • অস্ত্রোপচার: অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অস্থি মজ্জা বা লিম্ফ নোড অপসারণ করা যেতে পারে। এ

Leave a Comment